রূপচর্চা কেবল সুন্দর ঝলমলে চুল ও মসৃণ ত্বকেই সীমাবদ্ধ থাকে না। নখের ক্ষেত্রেও প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিচর্যা। পুজোর মরসুমে অনেকেরই চেনা ঠিকানা স্যালোঁ। ইচ্ছে করলেই কৃত্রিম নখ লাগিয়ে ফেলা যায়। কিন্তু তাতে নখের প্রকৃত যত্ন কোথায়?
সাময়িক সৌন্দর্যের জন্য দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি করে ফেলছেন না তো? কৃত্রিম সমাধান নয়, পুজোর আগে প্রাকৃতিক নিয়মেই নিন নখের যত্ন।
যতটা পারবেন নখকে শুকনো রাখবেন। ভিজে নখের গোড়া ছত্রাকের আঁতুড়ঘর। এর ফলে নানা সংক্রমণ দানা বাঁধে এবং সেই সঙ্গে নখ বড় হতেও সময় লাগে।
অতিরিক্ত বড় নখের জন্য যত্নেরও প্রয়োজন হয় একটু অতিরিক্ত। সেই অবকাশ না পেলে নখ বড় না করাই ভাল। বেশি বড় নখে অনেক সময় ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধে। এ ছাড়া খাবারের সঙ্গে নোংরা পেটে যাওয়ার সম্ভাবনাও এ ক্ষেত্রে বেশি।
‘কিউটিক্ল অয়েল’ নখের পরিচর্যার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন ই যুক্ত তেল মাসাজ করুন। ফল পাবেন।
সারা দিনের কাজের ফাঁকে নখে ময়শ্চারাইজ়ার লাগানো দরকার।
নেলপলিশ পরতে কে না ভালবাসেন। তবে জানেন কি, এর মধ্যে থাকা রাসায়নিক কিন্তু নখের ক্ষতির অন্যতম কারণ। একটু দাম দিয়ে পরিবেশবান্ধব নেলপলিশ কিনতে পারেন। রিমুভার কেনার সময়ে খেয়াল রাখবেন তাতে যেন ভিটামিন ই থাকে।
অবসর সময়ে উষ্ণ গরম জলে নখ ভিজিয়ে রাখলে জমে থাকা ব্যাক্টেরিয়া নষ্ট হয়ে যায়। নরম হয়ে আসা নখও শক্তিশালী হয়। জলের সঙ্গে সামান্য শ্যাম্পুও মিশিয়ে নিতে পারেন। স্ক্রাবিংয়ের জন্য বেছে নিতে পারেন সি-সল্ট।
এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েলের সঙ্গে ১টি ভিটামিন ই ক্যাপসুল ফাটিয়ে ভিতরের তরল মিশিয়ে নিন। স্ক্রাবিংয়ের পর নখের সেটি লাগিয়ে হালকা হাতে মালিশ করুন। এতে নখ অনেক সতেজ ও ভাল থাকে।
চুল হোক বা নখ, কেবল বাহ্যিক যত্নই যথেষ্ট নয়, প্রোটিন, ফাইবার ও ভিটামিন যুক্ত খাবার বেশি করে খাওয়া জরুরি। ( এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ। )