দুর্গাপুজোয় এক এক দিন এক এক রকম পোশাকের সঙ্গে এক এক ধরনের হেয়ার স্টাইল না করলে চলে? কোনও দিন কার্ল, তো কোনও দিন আবার স্ট্রেট লুক। ফলে দেদার ব্যবহার করা হয়েছে উত্তাপ। আর তাতেই চুলের দফারফা? যত্ন নিতে চুলে লাগান এই ঘরোয়া হেয়ার মাস্ক। জেল্লা ফিরবে নিমেষেই।
নারকেল তেলের থেকে উপকারী চুলের জন্য আর কীই বা হতে পারে? চুলের যে কোনও ধরনের সমস্যা দূর করতে নারকেল তেলের থেকে উপকারী আর কিছুই হয় না। এটি চুলের ছিঁড়ে যাওয়া রোধ করে।
নারকেল তেল এবং ভিটামিন ই মিশিয়ে একটি মাস্ক বানাতে পারেন। এটার জন্য চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী তেল নিন, তাতে ভিটামিন ই ক্যাপসুলের নির্যাস বা ভিটামিন ই তেল মিশিয়ে একটা পেস্ট বানান।
এর পর এই পেস্ট রাতে গোটা চুলে ভাল করে লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন। পর দিন অবশ্যই সকালে শ্যাম্পু করে নেবেন।
আমন্ড অয়েল এবং ডিমের হেয়ার মাস্ক লাগাতে পারেন এই সময়। আমন্ড অয়েল চুলের জন্য ভীষণই উপকারী, এটি চুলকে যেমন নরম করে, তেমনই ডিমের প্রোটিন চুলের ক্ষতিকে সারায়।
এই প্যাক বানানোর জন্য আমন্ড অয়েল নিন আপনার চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী, তাতে একটি ডিম ফেটিয়ে দিয়ে দিন। ভাল করে মিশিয়ে মাথায় লাগিয়ে ঘণ্টাখানেক রাখুন। তার পর ভাল করে শ্যাম্পু করে নিন।
চুলে ভীষণ রকম জট পড়ছে, ফ্রিজি হয়ে গিয়েছে? তা হলে স্লিকি স্মুদ চুল পেতে বানিয়ে ফেলুন কলা এবং মধুর মাস্ক।
একটা পাকা কলা ভাল করে চটকে তাতে দুই থেকে তিন চামচ মধু মিশিয়ে একটা মিশ্রণ বানিয়ে নিন। তার পর সেটা মাথায় ভাল করে লাগিয়ে আধ ঘণ্টা রাখুন। এর পর শ্যাম্পু করে নিন।
মনে রাখবেন আপনি কেমন বা কোন ধরনের শ্যাম্পু ব্যবহার করছেন সেটার উপরেও কিন্তু নির্ভর করে যে আপনার চুল কেমন থাকবে না থাকবে।
তাই চেষ্টা করবেন সালফেট মুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করার।
এ ছাড়া রোজ ৩-৪ লিটার জল পান করুন, নিয়মিত হেয়ার অয়েল ম্যাসাজও চুলের রুক্ষ ভাব দূর করে জেল্লা আনে। ( এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।