সামনেই কালীপুজো তথা দীপাবলি। আলোর উৎসবে মেতে উঠতে জোরকদমে প্রস্তুত হচ্ছেন সকলেই। তার আগে বাজার ভরে গিয়েছে নতুন ধরনের রকমারি বাজিতে!
উত্তরের জেলা কোচবিহারে যেমন দেখা মিলছে চার নতুন ধরনের বাজির। এদের মধ্যে একটি হল 'গ্যাস সিলিন্ডার বাজি'! এ বছর যা মানুষকে আকৃষ্ট করছে বলে শোনা যাচ্ছে।
আরও একটি নতুন ধরনের বাজি হল 'লাট্টু স্পিনার'! এই বাজি লাট্টুর মতো ঘুরতে ঘুরতে উপরে ওঠে! তার পরে আকাশে নানা রঙের আলো তৈরি করে!
এ ছাড়াও, নতুন বাজির তালিকায় আছে 'থ্রিডি তুবড়ি'! এটি সাধারণ তুবড়ির থেকে আলাদা। তুবড়ি জ্বালালে তার আগুন থ্রিডি এফেক্টের আলো তৈরি করে!
অন্য একটি নতুন বাজি হল 'ময়ূর বাজি'! এই বাজি ফাটলে ময়ূরের পেখমের মতো আলোর ঝলক দেখা যায়! এটি ক্রেতাদের মধ্যে বেশ আগ্রহ তৈরি করেছে।
আকাশে উড়ে গিয়ে ফাটা বাজিগুলির মধ্যে এ বার ড্রোন বাজির চাহিদা তুঙ্গে। হেলিকপ্টার বাজিও বিক্রি হচ্ছে দেদার। এগুলি আকাশে উঠে আলোর রোশনাই তৈরি করে।
এ বছর বাজারে এসেছে একদম নতুন বাজি 'ক্রোড়পতি'! এই বাজি দেখতে অনেকটা শেলের মতো। এটি আকাশে উঠে ফাটার পরে ধোঁয়ায় টাকার নোটের আদল তৈরি করে!
এ ছাড়াও, বেশ কিছু নতুন ধরনের বাজির হদিস মিলছে। এদের মধ্যে কয়েকটি হল 'গ্র্যান্ড স্ল্যাম' ও 'জাম্পিং মাঙ্কি'। 'সিঙ্গিং ডল' নামেও একটি বাজি পাওয়া যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইদানীংকালে আলোর বাজির দিকে ঝুঁকছেন সাধারণ মানুষ। শব্দবাজি নয়, বরং পরিবেশবান্ধব আলোর বাজির কদর বাড়ছে।
পরিবেশবিদদের বার্তা, পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে কালীপুজোয় বাজি পোড়ানোর ক্ষেত্রে সকলেরই নির্দিষ্ট সময় ও শব্দসীমা মেনে চলা উচিত। এবং অবশ্যই পোড়ানো উচিত গ্রিন অর্থাৎ পরিবেশবান্ধব বাজি। ( এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।