প্রতীকী চিত্র
পুজোর আগে আপনার ত্বক কি প্রচণ্ড রকম শুকনো দেখাচ্ছে? ক্রিম লাগিয়েও কাজ হচ্ছে না? এমনটা হলে তো শারদীয়ার সব সাজই মাটি! তা হলে এখনই জেনে নিন কী করণীয়।
মুখ পরিষ্কার রাখা গুরুত্বপূর্ণ হলেও মানুষের সবচেয়ে সাধারণ ভুলগুলির মধ্যে একটি হল সাবান এবং ক্লেনজ়ার ব্যবহার করা যা ত্বকের প্রাকৃতিক তেল শোষণ করে নেয়। কড়া ধাতের এই জিনিসগুলি ত্বকের কার্যকলাপকে ব্যাহত করতে পারে, যার জেরে শুষ্কতা এবং জ্বালাপোড়া হতে পারে। পরিবর্তে, আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী মৃদু, ময়শ্চারাইজিং ক্লেনজ়ার বেছে নিন। জ্বালাপোড়ার ঝুঁকি কমাতে সুগন্ধি-মুক্ত বা হাইপোঅ্যালার্জেনিক পণ্যের সন্ধান করুন। সাবানে থাকা সুগন্ধি এবং রঞ্জক সংবেদনশীল ত্বকের জন্য বিশেষ ভাবে সমস্যাকর হতে পারে। তাই এগুলি পুরোপুরি এড়িয়ে চলাই ভাল।
শুষ্ক ত্বক এমন একটি সমস্যা, যা বেশির ভাগ মানুষকেই ভোগায়। অনেকেরই ভুল ধারণা যে, এমনটা কেবল শীতকালেই ঘটে। যাঁদের ত্বকের ধরনটাই শুষ্ক, তাঁরা গ্রীষ্মকালেও এই সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। কারণ তাঁদের ত্বক আর্দ্রতা ধরে রাখতে লড়াই করে। তবে ত্বকের সহজাত গঠন ছাড়াও আরও কয়েকটি ভুলভ্রান্তি হয়, যা আপনার ত্বকে রুক্ষ ভাব আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
ত্বকের শুষ্কতা সামাল দেওয়ার টিপস:
১.হালকা ক্লেনজ়ার ব্যবহার করুন: সাবান বা রুক্ষ ধাঁচের ফেসওয়াশ এড়িয়ে চলুন। বদলে ব্যবহার করুন সালফেটমুক্ত মৃদু ক্লেনজ়ার।
২.ময়শ্চারাইজার অবশ্যই লাগান: দিনে ২-৩ বার ভাল ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন। স্নানের পরে ভেজা ত্বকে লোশন/ক্রিম লাগালে বেশি কার্যকর হবে। হায়ালুরনিক অ্যাসিড, গ্লিসারিন বা শিয়া বাটারযুক্ত ক্রিম বেছে নিন।
৩.গরম জল এড়িয়ে চলুন: খুব গরম জলে মুখ বা শরীর ধুলে ত্বক আরও শুষ্ক হয়। উষ্ণ গরম জল ব্যবহার করুন।
৪.সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন: রোদে বেরোলে অবশ্যই SPF 30+ সানস্ক্রিন লাগান। অন্যথায় ত্বকের শুষ্কতা বাড়তে পারে।
৫. জল ও খাবার: পর্যাপ্ত জল পান করুন, দিনে অন্তত ৮-১০ গ্লাস।
ডায়েটে বাদাম, বীজ, মাছ, অলিভ অয়েল রাখুন। এগুলি ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ, যা ত্বককে ভিতর থেকে আর্দ্র রাখে।
৬.হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন: শীতকালে ঘরে হিউমিডিফায়ার রাখলে বাতাসে আর্দ্রতা বজায় থাকে, ত্বক শুষ্ক হয় না।
৭.রুক্ষ প্রসাধনী এড়িয়ে চলুন: ত্বক পরিচর্যায় অ্যালকোহল, সুগন্ধী বা সালফেটযুক্ত উপকরণ এড়িয়ে চলুন।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।