পুজোর আগেই নায়িকাদের মতো গোলাপি গাল চান তাও ব্লাশ না লাগিয়েই? জেনে নিন কী ভাবে বাড়িতে বসেই পেয়ে যাবেন কাঙ্খিত লুক। ব্লাশ ছাড়া গোলাপি গাল পেতে কী করবেন জেনে নিন।
পুজো দরজায় কড়া নাড়ছে। কম বেশি সকলেই এখন শরীরচর্চা, রূপচর্চায় নজর দিয়েছেন। গোটা বছর যেমন তেমন কাটলেও, পুজোর এই কটা দিন সকলেই চান যাতে নিজেকে সুন্দর দেখায়।
ঠাকুর দেখার ভিড়ে আপনার দিকেই সকলের নজর আটকাতে অভিনেত্রীদের মতো গোলাপি গাল চান? তা হলে জেনে নিন নায়িকা বা নেটপ্রভাবীদের মতো স্বাভাবিক ভাবেই গোলাপি গাল পেতে কী করবেন।
স্বাভাবিক ভাবে গোলাপি গাল পেতে বিটের বিকল্প আর কী-ই বা হতে পারে? বিটে পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি সহ একাধিক প্রয়োজনীয় উপাদান রয়েছে।
এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবেও কাজ করে। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির হাত থেকে আমাদের ত্বককে বাঁচায়। শুধুই কি তাই? ত্বককে টানটান, উজ্জ্বল রাখতেও সাহায্য করে বিট।
তাই পুজোর আগে স্বাভাবিক ভাবে গোলাপি গাল পেতে কী ভাবে এই বিট ব্যবহার করবেন চলুন জেনে নেওয়া যাক।
বিট এবং মধু: একটি বিট পেস্ট করে তাতে মধু যোগ করে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি একটি কৌটো করে রেখে দিন। রোজ রাতে ঘুমানোর আগে এটিকে ময়েশ্চরাইজ়ার হিসেবে ব্যবহার করুন। পর দিন সকালে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
অ্যালোভেরা এবং বিট: বিটের রসের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করুন। মুখ এবং গলায় সেটা লাগিয়ে মিনিট পনের অপেক্ষা করুন। তার পর ঠান্ডা জল দিয়ে ভাল করে মুখ ধুয়ে নিন।
কেবল প্যাক বানানো নয়। ত্বকের বাইরের যত্নের পাশাপাশি তাকে ভিতর থেকেও ভাল রাখতে হবে। আর সেটার জন্যও বিট সমান ভাবে উপকারী। রোজ বিটের রস পান করলে বা স্যালাড হিসেবে খেলেও উপকার পাবেন। ত্বকের জেল্লা বাড়বে।
এ ছাড়া বানাতে পারেন বিটের ফেস মাস্ক। এটার জন্য একটি বিটের খোসা ছাড়িয়ে ভাল করে পরিষ্কার করে নিন। তার পর টুকরো করে কেটে পেস্ট করে নিন। এ বার সেটিকে ভাল করে ছেঁকে রসটা আলাদা করে নিন। অন্য দিকে কড়াইতে জল দিয়ে মৌরি সেদ্ধ করুন। জলের রং পরিবর্তিত হয়ে গেলে সেই জলটা বিটের রসের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এর সঙ্গে যোগ করুন কয়েক ফোঁটা গ্লিসারিন। এ বার এই মিশ্রণ ভাল করে মিশিয়ে সেটা মুখিয়ে লাগিয়ে আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। তার পর একটি নরম কাপড় দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।