How to cure hangover

পুজোয় রাতভর পার্টি, পরদিন মাথায় ঝিমঝিম ব্যথা? হ্যাংওভার কাটান এই উপায়ে

রাতের হাসি-ঠাট্টা, নাচগান ম্লান হয়ে যায় পরদিন সকালে। মাথা ভারী, মুখ শুকনো আর শরীর এক্কেবারে কাহিল।

Advertisement

আনন্দ উৎসব ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৯:৩৮
Share:

সংগৃহীত চিত্র।

পুজোর রাতে আড্ডা জমেছিল বেশ। ঠাকুর দেখা, বন্ধুদের সঙ্গে গল্প, গান… আর হ্যাঁ, কেউ কেউ সুরার গ্লাসও তুলেছিলেন হাতে। কিন্তু রাতের হাসি-ঠাট্টা, নাচগান ম্লান হয়ে যায় পরদিন সকালে। মাথা ভারী, মুখ শুকনো আর শরীর এক্কেবারে কাহিল। যার পোশাকি নাম ‘হ্যাংওভার’। চিন্তার কিছু নেই, এর সমাধানও আছে।

Advertisement

এ অবস্থা সামলাতে প্রথমেই দরকার জল। প্রচুর জল খেলে শরীরে জমে থাকা অ্যালকোহল তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যায়। শরীর থেকে টক্সিন বার করে মাথা ব্যথাও কমাতে সাহায্য করে। চাইলে নারকেল জল বা লেবু-জলও খাওয়া যেতে পারে। এতে শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ঘাটতি মেটে।

খাবারের তালিকায় রাখতে হবে হালকা, সহজপাচ্য জিনিস—যেমন ওটস, টোস্ট বা কলা। চিনি দেওয়া চা-কফি থেকে দূরে থাকুন। তেল-মশলাদার খাবার এই সময় একেবারেই ভাল নয়, কারণ তাতে পেটে চাপ পড়ে। কেউ কেউ মিষ্টি বা ডার্ক চকলেট খেয়ে স্বস্তি পান, কারণ এতে ব্লাড সুগারের ভারসাম্য ফেরে।

Advertisement

ঘুমও এক বড় ওষুধ। শরীর যত বিশ্রাম পাবে, তত দ্রুত সেরে উঠবে। আর যদি সম্ভব হয়, দুপুরে একটু ঘুম হ্যাংওভার কাটানোর পথে বড় সহায়ক।

হ্যাংওভারের পরদিন অনেকেই ঘর থেকে বেরোতে চান না। কিন্তু এই সময়ে সামান্য হাঁটাচলা করলে বা হালকা ব্যায়াম করলে শরীর থেকে টক্সিন দ্রুত বেরিয়ে যায়। হালকা রোদে বসে থাকলেও ভাল লাগতে পারে। মনটাকে শান্ত করতে প্রিয় গান শুনতে পারেন বা পছন্দের সিনেমা দেখতে পারেন।

সবচেয়ে বড় কথা, পুজোর মেজাজ নষ্ট না করে শান্ত ভাবে দিনটা কাটানোই বুদ্ধিমানের কাজ। রাতের আনন্দের দাম যেন পরের দিনের কষ্টে না চুকোতে হয়—এটা মাথায় রাখলেই পুজোর হ্যাংওভারও হয়ে উঠতে পারে শুধু এক দিনের ছোট্ট ‘অভিজ্ঞতা’।

এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement