ঘরের ভিতরের বাতাসও অনেক সময়ে দূষিত হয়ে যায়, যা শ্বাস-প্রশ্বাস ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তবে অন্দরে রাখার উপযোগী কিছু গাছ রয়েছে, যেগুলি প্রাকৃতিক ভাবেই বাতাসকে পরিশুদ্ধ করে। এই গাছগুলি ঘরে রাখলে বায়ু দূষণ অনেকটাই কমে যায় এবং ঘরের পরিবেশ হয় সতেজ ও স্বাস্থ্যকর।
জেনে নিন কোন ইনডোর প্ল্যান্ট হয়ে উঠতে পারে উপকারী বন্ধু: ১.অ্যারিকা পাম: আর্দ্রতা বজায় রাখে ও বাতাস পরিষ্কার করে। এই ইনডোর প্ল্যান্ট বাড়ি বা অফিসের সৌন্দর্য বাড়াতে ব্যবহৃত হয়। এটি একটি বায়ু বিশুদ্ধকারী গাছ যা ইতিবাচক শক্তি ও সৌভাগ্য বয়ে আনে বলে মনে করা হয়।
২.জেড প্ল্যান্ট: খুব কম জলে বেঁচে থাকে এই গাছ। খুব বেশি আলোরও প্রয়োজন নেই এদের। ঘরের কোণে, যেখানে সরাসরি সূর্যের আলো পৌঁছয় না, সেখানে রাখতে পারেন এই গাছগুলি।
৩.মানি প্ল্যান্ট: কার্বন ডাই-অক্সাইড ও ফর্মালডিহাইড শোষণ করে। এই গাছ ঘরের সৌন্দর্য বাড়ানোর পাশাপাশি বাতাস পরিশুদ্ধ করতেও সাহায্য করে। এটি অত্যন্ত সহনশীল একটি গাছ, যা কম আলোতেও বেঁচে থাকতে পারে।
৪.পিস লিলি: ছত্রাক, ধুলো ও ক্ষতিকর গ্যাস দূর করে। এর চকচকে সবুজ পাতা এবং সাদা ফুলের জন্য পরিচিত এই গাছটিকে শান্তির প্রতীক মনে করা হয়। এটি ঘরের বায়ু পরিশোধনে অত্যন্ত কার্যকরী।
৫.অ্যালোভেরা: টক্সিন শোষণ করে ও অক্সিজেন দেয়। অ্যালোভেরা সাকিউলেন্ট বা ক্যাকটাস জাতীয় গাছ। অর্থাৎ, অল্প জল, শুকনো আবহাওয়াতেও অ্যালোভেরা ভাল থাকে। টবে ক্যাকটাস সয়েল অথবা সাধারণ মাটি ভরে দিন। খেয়াল রাখুন, যেন প্রতিটি টবেই বেশ কয়েকটি করে গর্ত বা ড্রেনেজ হোল থাকে। কারণ, মাটি অতিরিক্ত জল ধারণ করলে অ্যালোভেরা গাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
৬.স্পাইডার প্ল্যান্ট: কার্বন মনোক্সাইড ও বিষাক্ত রাসায়নিক শোষণ করে।
৭.ব্যাম্বু পাম: দূষণ কমায় ও ঘরকে ঠান্ডা রাখে। এই গাছকে প্রায়শই 'সবুজ সোনা' বলা হয় এর বহুমুখী ব্যবহারের কারণে। যেমন নির্মাণ, আসবাবপত্র, কাগজ এবং বিভিন্ন পণ্যের কাঁচামাল হিসেবে এটি ব্যবহার হয়।
৮.রাবার প্ল্যান্ট: বাতাসের ক্ষতিকর উপাদান টেনে নেয়। যা প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে প্রাকৃতিক রাবার তৈরি হয়।
৯. চাইনিজ ব্যাম্বু: গৃহসজ্জায় এ ধরনের গাছের জুড়ি নেই। এ গাছকে ‘লাকি ব্যাম্বু’ও বলা হয়। এই ধরনের গাছ বাড়িতে রাখা শুভ বলেও মনে করেন অনেকে। সাধারণত, অত্যন্ত কম যত্নআত্তিতে ভাল থাকে লাকি ব্যাম্বু।
১০.বস্টন ফার্ন: ধুলো ও বিষাক্ত কণা শোষণ করে। এটি সাধারণত টবে বা ঝুলন্ত অবস্থায় ভাল ভাবে বাড়ে এবং অন্দরসজ্জায় একটি সতেজ পরিবেশ তৈরি করে। (এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ)।