Durga Puja Shopping Guide

অজানা উৎসের উৎসারিত আলোতে সেজে উঠুক ঘর

ইচ্ছে অনুযায়ী মাঝে মাঝেই ঘরের আলোর রং পালটে যাক।

Advertisement

সুদীপ ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৮ ১০:৪৮
Share:

উৎসবে ঘর হোক আলোকিত।

উৎসবের দিনগুলিতে আমাদের চারপাশে একটা মায়াময় পরিবেশ তৈরি হয়।আলো-আঁধারির ম্যাজিক, লুকোচুরি খেলা।স্বপ্ন বাইরেও,আবার স্বপ্ন যেন ঘরের মধ্যেও! তবে আলোর উচ্ছ্বাসে ভেসে যাওয়ার একটা নিয়মও আছে। সেই ছাঁদ মেনেই সাজাতে হয় ঘরের আলো।

Advertisement

ঘরের আলোর সব থেকে উল্লেখযোগ্য শর্ত হল,আলোর উৎসকে চোখের সামনে থেকে আড়াল করা।আপনি বসে আড্ডা দিচ্ছেন বসার ঘরে। অনেক আলো চারপাশে। কিন্তু আলো কোথা থেকে আসছে,বুঝতে পারছেন না।তখনই বুঝবেন, আলোর উৎসকে আড়াল করে রাখা হয়েছে।

আলোর উৎস আড়াল করার বেশ কিছু উপায় রয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: এ বার পুজোয় মোমের আলোয় মাতুন প্রেমে

যদি ফলর্স সিলিং লাগানো থাকে, তাহলেতো কথাই নেই।সারিবদ্ধ ভাবে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে আলো লাগিয়ে যেতে হবে।একটা সুইচ ব্যবহার করে কমপক্ষে তিন-চারটি আলো তো জ্বালানো যেতেই পারে।ট্রে সিলিংয়ের ফাঁকে ফাঁকে নানান রঙের এলইডি বা স্টিপ লাইট ট্রে-র ভিতরে লাগালে তো বেশ ভালই হয়।সিলিংয়ে লাগানো আলোগুলোর জন্যে ডিমার লাগানো যেতে পারে।ডিমারের একটা সুবিধা হল, ইচ্ছে হলে,কিংবা মুড অনুযায়ী আলোর উজ্জ্বলতা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।তাতে খুব খেটেখুটে বাড়ি ফিরে কিছুক্ষন যদি বিশ্রাম পেতে চান,তাহলে ঘরের আলোকে ডিমারের সাহায্যে কম করে দিয়ে, বিশ্রাম নিয়ে নিতে পারেন।

কিংবা এমনটা করলে বেশ হয়— মাঝে মাঝেই ঘরের আলোর রং পালটে যেতে থাকবে। ইচ্ছে অনুযায়ী।এটা করতে গেলে ফলস সিলিংয়ের ভিতরদিকে একটা কালার হুইল লাগাতে হবে।কালার হুইল সিলিংয়ে থাকা আলোর সারিকে এক একসময় একএক ইচ্ছাসারিতে নিয়ে যাবে।

উৎসবের দিনগুলোতে ঘরে একটু বেশি পরিমান আলো জ্বালিয়ে রাখেন অনেকেই।অন্যসময় এত আলোর দরকার থাকে না।ঘরের মেঝেয় রাখা টবে যদি গাছ রাখেন,একটু লক্ষ্য রাখবেন, আলো যেন গাছে এমন ভাবে এসে না পড়ে যাতে দেওয়ালে ঘন কালো ছায়ার সৃষ্টি হয়।বিভিন্ন কুলুঙ্গিতে আলো যেন থাকে।সাজানোর জিনিস রেখে আলো জ্বালিয়ে দিলে ভাল লাগে।ঘর সাজানোর জন্য ক্রিস্টালের কিছু যদি রাখেন,তার উপরে আলো বেশ অন্যরকম করে তুলবে ঘরকে।

আরও পড়ুন: ঘরের কোণ সাজান মনের মতো করে​

রান্নাঘরের উপরের দিকের ক্যাবিনেটের নীচে আলোর ব্যবস্থা রাখলে রান্নাঘরের কাউন্টারের উপরেই উজ্জ্বল আলো এসে পরবে।কাটাকাটি,কিংবা রান্নাবান্না ইত্যাদি নানা কাজে খুব সুবিধা হবে।উপরের ক্যাবিনেটের পাল্লায় যদি কাচ থাকে, তাহলে ক্যাবিনেটের ভিতর দিকে আলো লাগিয়ে নেওয়া যেতে পারে।বাইরে থেকে ভিতরে কী রাখা রয়েছে বোঝা যাবে, নামাতেও সুবিধে হবে।

উৎসবের কথা মাথায় রেখে ঘরে কয়েকটি পেন্টিং ঝোলাতে পারেন।তবে প্রতিটা পেন্টিংয়ের উপরে অবশ্যই পিকচার লাইট রাখবেন।আলো ছাড়া ছবি বোঝা যায় না কিন্তু।

আয়নার উপরে অবশ্যই আলো রাখবেন।মিরর লাইট।সাজগোজের জন্য ঘরের যে জায়গাটা ব্যবহার করবেন, সেখানেও যেন আলোর ব্যবস্থা যথেষ্ট থাকে।অন্যথায় সাজগোজে অসুবিধা হয়।

কম আলোয় রাতের খাবার খাওয়ার একটা অন্যরকম রোমাঞ্চ আছে।বাড়ির সব আলো নিভিয়ে খাবার টেবিলের উপরের আলোটা জ্বালিয়ে দিতে হবে।আলোর উৎসটা অবশ্যই যেন দেখা না যায়।কলকাতায় বিভিন্ন মেলাগুলিতে খোঁজ করলে হাতে তৈরি কাগজের ঝুলন্ত আলোর আচ্ছাদন পেয়ে যাবেন।কম কিন্তু স্বপ্নালু আলোতে খুব সুন্দর একটা পরিবেশ তৈরি হবে।

ঘরের কোনার দিকে আলোর বন্দোবস্ত দরকার।উপরের দিকে মুখ করে রাখা আলো কিম্বা নীচের দিকে মুখ করে রাখা আলোতো আছেই।ছোট্ট একটা বুদ্ধি দিই, মাটির বড় হাঁড়ি কিংবা কলসিকে সুন্দর করে খোদাই করে,তার উপরে বেশ কিছু ছিদ্র করতে হবে।খোদাই করাটাও যেন সুন্দর হয়।এবার সেটা ভাল করে রং করে উল্টিয়ে রাখতে হবে।ভিতরে থাকবে জোড়ালো আলোর উৎস।চারপাশটা আলোকিত হয়ে উঠবে বটে কিন্তু আলোর উৎস বোঝা যাবে না। এমন নকশা আজকাল দোকানেও পাওয়া যায়। হাতে বানানোর সময় না পেলে কিনে নিতে পারেন সেখান থেকেও।

ছবি সৌজন্য: শাটারস্টক।

(লেখক অন্দরসজ্জা বিশেষজ্ঞ)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন