Durga Puja Celebration 2018

রান্নাঘর সেজে উঠুক আধুনিকতার ছন্দে

আমাদের মা, ঠাকুমারা দিনের একটা বড় অংশ কাটান রান্নাঘরে। সেই রান্নাঘরই পরিতৃপ্তি আনে আপনার-আমার জীবনের রোজনামচায়।

Advertisement

সুদীপ ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৮ ১০:৫৯
Share:

রান্নাঘরকে প্রাণবন্ত করে তুলুন।

দেবী আসছেন আমাদের মধ্যে। তাঁর আরাধনায় ব্যস্ত হয়ে উঠব আমরা। উৎসবে মেতে উঠবেন সবাই।কিন্তু আপনার নিজের ঘরের মানুষটার কথা ভেবে দেখেছেন তো? নিত্যদিন সংসারের নানা কাজে নিঃশব্দে অক্লান্ত শ্রম দিয়ে চলেছেন তিনি।উৎসবের দিনগুলোয় ঘর সাজানোর উপলক্ষেতাঁর সুবিধাটিকেই দিন বিশেষ গুরুত্ব।

Advertisement

আজকের আধুনিক নারী থেকে আমাদের মা, ঠাকুমারাও দিনের একটা বড় অংশ কাটান রান্নাঘরে। সেই রান্নাঘরই পরিতৃপ্তি আনে আপনার-আমার জীবনের রোজনামচায়। সেই রান্নাঘরটাকে সাজিয়ে নিন তাঁদের মনের মতো করে।উৎসবে আন্দোলিত হোক নারীর মন।

কেউ কেউ অবশ্য তর্ক করতে পারেন এই বলে যে,রান্নাঘর শুধু মেয়েদের জায়গাএমন কথা কে বললে?এ প্রশ্ন বাস্তবিকএবং স্বাস্থ্যবানও বটে।রান্নাঘর যদি পুরুষ এবং নারী দুইয়ের মধ্যেই ভাগ হয়ে যায়, কিংবা বলা ভাল, দু’জনেই সমান ভাবে রান্না ঘরের দায়িত্ব নেন—তার চাইতে ভাল আর কী হতে পারে?

Advertisement

আরও পড়ুন: জুতোও রাখতে পারেন ওয়ার্ডরোবে

এখন সকলেই মডিউলার কিচেনে উৎসাহী।মানুষ খুব একটা ঝামেলা নিতেচায় না।তাই কোনও একটি সংস্থাকে অর্ডার দিয়ে দায়িত্ব সারতেই পারেন।কিন্তু আমার অন্য মত। কিছুটা খাটাখাটনি যদি আপনি করতে পারেন, তাহলে মিস্ত্রি লাগিয়ে নিজের মনের মতো রান্নাঘর একটা বানিয়ে নেওয়া খুবই সহজ।

খুব বেশি ঝামেলা নেই। একজন কাঠের এবং একজন পাথরের মিস্ত্রি ডাকতে হবে। তাঁদের সঙ্গে পরামর্শ করে, বেশ কিছু বইপত্তর এবং ইন্টারনেট ঘেঁটে একটা নকশা পছন্দ করে নিন। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে আনুন। কিচেন টপের জন্য গ্রানাইট কিনতে হবে। সবকিছু রেডি হয়ে গেলে একটা মডিউলার কিচেন তৈরি করতে ৭ থেকে ১০ দিনের মতো সময় লাগবে।

কিচেনের ড্রয়ারেযে স্টিলের ট্রেগুলো ব্যবহার হয়,কলকাতার চাঁদনি চক মার্কেটে পাওয়া যায় সেগুলো। বাকি সবকিছুও নাগালের মধ্যে পেয়ে যাবেন। আর কিচেন কাউন্টার রেডি থাকলে তো কথাই নেই। শুধু কাঠের মিস্ত্রিকে খবর দিলেই চলবে। মোদ্দা কথা হল, নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সবকিছু দেখভাল করলে কোয়ালিটি কন্ট্রোলও হয়। আবার টাকাও বাঁচে।

আরও পড়ুন: ঘরের রং হোক শরতের আকাশের মতো মন ভাল করা​

তবে সামনে উৎসব বলে কথা। যদি মনে হয়, হাতে অত সময় নেই, তাহলে ঝুটঝামেলায় না যাওয়াই ভাল। সামান্য যত্ন নিলেই চলবে। যেমন ধরুন, রান্নাঘরের মেঝে মার্বেল বা মোজাইক দানার হলে হ্যান্ড মেশিন দিয়ে পালিশ করিয়ে নিন।ছোট পরিসরের মেঝের পালিশ সবসময় হ্যান্ড মেশিন দিয়ে করানো ভাল।কারণ, ভিতরদিকের মেঝেতেও হ্যান্ড মেশিন ঢুকতে পারবে,বড় আকারের ফ্লোর মেশিন দিয়ে তাকখনওই সম্ভব নয়।

গ্রানাইট টপ যদি থাকে সেটাকেও ভাল করে ঘষে চকচকে করে নিন। রান্নাঘরের চিমনিটা পরিষ্কার করান। চিমনির ডাক্টিং যদি বাইরে থেকে দেখা যায় তাহলে সেটা ক্যাবিনেটের মধ্যে ঢুকিয়ে দিতে বলুন। অর্থাৎ আপার ক্যাবিনেটের মধ্যে চিমনির ডাক্টিংটাকে নিয়ে আসুন।

রান্নাঘরকে প্রাণবন্ত করে তুলতে ফুলদানির মধ্যে জল দিয়ে টাটকা ফুল রাখুন। এতে মন ভাল থাকবে। বাড়িতে কিচেন গার্ডেন থাকলে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কখনও টমেটো, কখনও বেগুন আবার কখনও বা লঙ্কা গাছ লাগান। বক্স জানালা থাকলে তার উপর তুলে আনতে পারেন গাছগুলোকে। এতে সুবিধাইহবে। প্রয়োজনে হাত বাড়িয়ে গাছ থেকে সব্জিও পেড়ে ফেলতে পারবেন। সুতরাং আর দেরি কেন?

ছবি সৌজন্য: লেখক।

(লেখক অন্দরসজ্জা বিশেষজ্ঞ)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন