উৎসবের বিকেলে বারান্দায় বসে চা এবং টা-এর সঙ্গে যদি থাকে জমাটি আড্ডা, তা হলে আর কী চাই! তবে এই বিশেষ দিনগুলোর জন্য কিন্তু একটু আলাদা ভাবে সাজিয়ে তুলতে পারেন আপনার বারান্দাকে।
পাড়ার পুজো হোক বা নিজের ঘরের, আবেগটা এক। এই বারান্দাই সাক্ষী হয়ে থাকে একরাশ খুশির, হাসির ফোয়ারা আর কতশত নতুন-পুরনো কথার।
পুজোয় তাই চেনা বারান্দাকে সাজিয়ে তুলুন একেবারে অন্য ভাবে। মাটির প্রদীপ বা লণ্ঠন দিয়েই তৈরি করতে পারেন রূপকথার মতো মায়াবি পরিবেশ।
সেই নরম আলোর ওপারে যখন সন্ধ্যা নামবে, আড্ডাটা উঠবে আরও জমে, হয়ে উঠবে আরও প্রাণবন্ত।
বারান্দার কোণে ছোট ছোট মাটির টবে রাখতে পারেন পছন্দের গাছ। শিউলি, কাঠগোলাপের মতো সুগন্ধী ফুল না থাকলেও ক্ষতি নেই।
সবুজ রং চোখে এক অন্য শান্তি এনে দেয়। সবুজ রং চিরকালীন বন্ধুত্বেরও বটে।
শাড়ির পাড় বা পুরনো কোনও কাপড়ের নকশা দিয়ে সাজিয়ে নিতে পারেন বারান্দার পর্দা। হালকা হাওয়ায় সেই পর্দার ওড়াউড়ি মনে করাবে ফেলে আসা পুজোর কথা।
বারান্দার এক কোণে যদি রাখা যায় একটি আরামদায়ক চেয়ার বা ছোট সোফা, তবে তো কথাই নেই।
সেখানে বসে হাতে থাকে একখানা বই, কিংবা মোবাইল সরিয়ে রেখে আলগোছে আড্ডা জমুক পুরোনো বন্ধুর সঙ্গে। ঘরোয়া বারান্দাই হয়ে উঠুক এক টুকরো উৎসব।
পুজোর আনন্দ লুকিয়ে থাকে সেই সব মুহূর্তে, যেখানে সবাই একসঙ্গে মেতে ওঠে হাসি-ঠাট্টায়। মন খারাপগুলো হারিয়ে যায় বারান্দা ঘেরা এক চিলতে সুখের এই মৌতাতে। এই বছর তাই বরং চিরায়ত বারান্দার গল্পটাকেই লিখুন আরও একটু নতুন করে। ( এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ। )