সংগৃহিত চিত্র
পুজোয় ঘর সাজানো মানেই শুধু আলপনা, আলো বা নতুন পর্দা নয়। অতিথি এলে ঘরের উজ্জ্বল বসার ঘর যেমন নজর কাড়ে, তেমনই এক বার ঢুঁ মারলেই স্নানঘরের চেহারাটাই বলে দেয় আসল কাহিনি। তাই পুজোর আগে বাড়ির শৌচাগারকেও ঝকঝকে রাখা জরুরি। নোংরা শৌচাগার হাজারো রোগ-জীবাণুর আঁতুড়ঘর। তাই শুধু চোখের আরাম নয়, সুস্থতার জন্যও তাকে পরিষ্কার রাখা জরুরি।
ভাবুন তো, স্নানঘরের টাইলসগুলো হলুদ ছোপে কেমন যেন মলিন হয়ে আছে, বেসিনের কোনায় জাঁকিয়ে বসেছে পুরনো জলের দাগ! এই সব দাগ-ছোপের হাত থেকে মুক্তি পাওয়াটা কিন্তু তেমন কঠিন নয়, যদি কিছু ছোটোখাটো নিয়ম মেনে চলেন।
সপ্তাহান্তে এক বার ব্লিচিং পাউডার বা অ্যাসিড দিয়ে মেঝের টাইলস ঘষলেই বেশির ভাগ দাগছোপ চলে যায়। তবে এখন বাজারে টাইলসের ধরন অনুযায়ী আলাদা আলাদা ক্লিনার পাওয়া যায়। সেগুলো ব্যবহার করলে আপনার প্রিয় টাইলসগুলো থাকবে আরও বেশি চকচকে। রোজকার সাফাইয়ের কাজটা আরও সহজ করতে একটা রাবার ক্লিনার দিয়ে বাথরুমের অতিরিক্ত জল টেনে দিন, দেখবেন স্নানঘর কত দ্রুত শুকিয়ে যায়!
বেসিন পরিষ্কার রাখার ব্যাপারটা একদমই হেলাফেলা করা চলে না। বেসিনের কলের পাশে যে হলুদ ছোপ দেখা যায়, তা আসলে জলের দাগ। গুঁড়ো সাবান আর ক্লিনার মিশিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করে সেই দাগের উপরে কিছুক্ষণ রেখে দিন। তার পরে একটা ব্রাশ দিয়ে হালকা ঘষা দিলেই দেখবেন দাগ উধাও।
আর কমোড? এটা পরিষ্কার রাখা সবচেয়ে বেশি জরুরি। বাজারচলতি বিশেষ ক্লিনার ব্যবহার করলে কমোড জীবাণুমুক্ত থাকে। এ ছাড়া এখন ফ্লাশের সিস্টার্ন বাক্সে রাখার জন্য কিছু কীটনাশক ট্যাবলেট পাওয়া যায়। এগুলোর ব্যবহারে কমোড থাকে সব সময়ে ঝকঝকে। সবশেষে শৌচাগারে সতেজ ভাব ধরে রাখতে একটা এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহার করতেই পারেন।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাই সুস্থ জীবনের চাবিকাঠি। শুধু পরিষ্কার রাখাই নয়, হালকা ফ্রেশনার ব্যবহার করলে বাথরুমে ঢুকলেই একটা তরতাজা অনুভূতি হয়। অন্য দিকে, ভেজা মেঝে শুধু দুর্গন্ধই নয়, ছত্রাকেরও উৎস। তাই জল জমতে দেবেন না।রান্নাঘর, ঘরদোরের সঙ্গে স্নানঘরকেও রাখুন পুজোর সাজগোজের তালিকায়। এতে বাড়ির সামগ্রিক সৌন্দর্যও বাড়ে। অতিথিও মুগ্ধ হন!
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।