প্রতীকী চিত্র
ঢাকের বাদ্যির আগেই বিয়ের সানাই! ঠিক যেন পুজোর আগে এক অন্য রকম উদযাপনী মেজাজ। চার পাশে শুধুই এক মিষ্টি গন্ধ, উৎসবের সুর আর মনের ভিতরে অদ্ভুত এক দোলাচল। কিন্তু বিয়ের কথা বললেই যে প্রশ্নটা ঘুরেফিরে আসে তা হল, 'অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ'-এর এই সময় দাঁড়িয়ে আদতে কি কোনও ভবিষ্যৎ আছে? পুরনো প্রজন্মের কাছে যা ছিল জীবনের স্বাভাবিক গতি, এখন তা যেন এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। অনেকের মনেই ভয়– অজানা মানুষকে কি করে আপন করা যায়, ভালবাসার সম্পর্ক কি আদৌ তৈরি হবে?
তবে একটা কথা কিন্তু মনে রাখতে হবে– সম্পর্ক তৈরি হয় ভালবাসায়, বোঝাপড়ায়। আর এই বোঝাপড়াটা যদি ঠিকঠাক হয়, তা হলে সম্বন্ধ করে করা বিয়েও কিন্তু হয়ে উঠতে পারে এক দারুণ সফর। ঠিক যেমন কিছু রাশির জুটি একে অপরের সঙ্গে অদ্ভুত ভাবে মানিয়ে যায়। যেমন ধরুন, মেষ আর ধনু। দু’জনেই খুব অ্যাডভেঞ্চার ভালবাসেন, স্বাধীন থাকতে পছন্দ করেন। তাই একসঙ্গে থাকলে তাঁদের মন সব সময়ে চনমনে থাকে। আবার মেষের সঙ্গে যদি সিংহ আসে, তখন আবেগ আর সাহসের এক দারুণ বুনন তৈরি হয়। দু’জনেই একে অপরকে উৎসাহ দেন।
অন্য দিকে বৃষ আর কন্যা রাশির জাতক-জাতিকারা বাস্তবের মাটিতে পা রেখে চলা মানুষ। এরা একসঙ্গে থাকলে একটা স্থিতিশীল আর শান্তির সংসার গড়ে ওঠে। আবার বৃষের সঙ্গে কর্কট বা মকর রাশির মানুষের সম্পর্কও খুব মজবুত হয়। এক জন দেন সুরক্ষা, অন্য জন আরাম।
যাঁদের কথাবার্তা আর রসিকতা বেশি পছন্দ, তাঁদের জন্য মিথুন আর তুলা একদম আদর্শ। এঁরা বুদ্ধিতে একে অপরের পরিপূরক। আর মিথুনের সঙ্গে কুম্ভ হলে তো কথাই নেই, দু’জনেই নতুন কিছু খোঁজেন আর একসঙ্গে বদলে যাওয়ার আনন্দ উপভোগ করেন।
কর্কট আর বৃশ্চিকের মধ্যে সম্পর্কটা গভীর অনুভূতির। এঁরা একে অপরের প্রতি খুব বিশ্বস্ত হন। ঠিক একই ভাবে কর্কট ও মীন রাশির মানুষেরাও একে অপরের মন সহজেই বুঝতে পারেন।
সিংহ আর ধনু একসঙ্গে থাকলে চার দিকে হাসি আর উদ্দীপনার ঢেউ থাকে। আর মীন আর বৃশ্চিক! এঁদের বন্ধন যেন গভীর, আত্মিক আর প্রায় টেলিপ্যাথিক।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।