নিজস্ব চিত্র
গোটা একটা বছর পার করে ফের মর্ত্যে আসছেন দেবী দুর্গা। উমাকে আহ্বানের তোড়জোড় শুরুও হয়ে গিয়েছে। সকলেরই প্রার্থনা, পুজো যেন ভাল কাটে। হিন্দু শাস্ত্র মতে, পুজো সত্যিই ভাল কাটবে কি না, কিংবা শারদীয়ার সময় বা তার পরেও সময় ভাল যাবে কি না, সে ইঙ্গিত থাকে দশভূজার মর্ত্যলোকে আগমন ও প্রস্থানের বাহনেই। অর্থাৎ, দেবী কোন বাহনে চেপে মর্ত্যে আসছেন বা কীসে চড়ে পুনরায় কৈলাসে ফিরছেন, তাতেই রাখা আছে আগামীর বার্তা। তা থেকেই বোঝা যায়, এই ধরাধাম সুখ, শান্তিতে ভরে উঠবে, নাকি মর্ত্যবাসীকে শোক, দুঃখ ভোগ করতে হবে!
শাস্ত্র মতে, এ বছর (২০২৫ সাল) মর্ত্যে দেবীর আগমন ঘটবে গজ, অর্থাৎ হাতির পিঠে চেপে। যা অত্যন্ত শুভ ইঙ্গিত বলেই মনে করা হয়। শাস্ত্রজ্ঞদের দাবি অনুসারে, গজ বা হস্তী হল দশভূজার সেরা বাহন। এর অর্থ হল - মর্ত্যলোক সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে উঠবে, মাঠে সোনার ফসল ফলবে, দেবীর ভক্তরা তাঁদের কাঙ্ক্ষিত বর লাভ করবেন।
প্রসঙ্গত, দেবীর মর্ত্যে আগমন ও গমন নিয়ে নানা মত রয়েছে। শাস্ত্র অনুসারে - চারটি পৃথক বাহনে চেপে উমা মর্ত্যে আসেন বা কৈলাসে ফেরেন। যার মধ্যে সর্বোৎকৃষ্ট হল হস্তী, যা সুখ, সমৃদ্ধি ও শান্তির প্রতীক।
কিন্তু, দেবী যদি কোনও বছর ঘোটক অর্থাৎ ঘোড়ায় চড়ে মর্ত্যে আসেন, তা অশান্তি ইঙ্গিত করে। অর্থাৎ, সে ক্ষেত্রে সমাজ তথা দেশে অস্থিরতা, বিদ্রোহ প্রভৃতি অশুভ ঘটনা ঘটবে বলে মনে করা হয়।
আবার দেবীর আগমন যদি ঘটে নৌকায়, তবে তা যেমন বন্যা বা প্লাবনের পূর্বাভাস দেয়, তেমনই উৎকৃষ্ট ফসল ফলার সম্ভাবনাও সৃষ্টি করে বলে শাস্ত্রজ্ঞরা মনে করেন।
তবে যদি দোলা বা পালকিতে চেপে দেবী আসেন, তা হলে তা অত্যন্ত অশুভ বলেই ধরা হয়। বিশ্বাস করা হয়, দুর্গার পালকিতে আগমন মহামারী বা মড়কের প্রতীক!
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।