Shyamsundari Kali

শ্যামসুন্দরী কালী মন্দিরে গভীর রাতে ফিসফিস করে কে? শোনা যায় কার নূপুরের শব্দ?

কালী এখানে পূজিতা হন পঞ্চম বর্ষীয়া বালিকা রূপে।

Advertisement
আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২৫ ০৯:২১
Share:
০১ ১০

শ্যামসুন্দরী কালীর পরিচয়: শ্যামসুন্দরী কালী উত্তর কলকাতার সুকিয়া স্ট্রিটের (আদি মন্দির যেখানে ছিল) এক বিখ্যাত দেবী। ভক্তদের বিশ্বাস, এই মন্দিরে দেবীর জীবন্ত রূপ বিরাজ করে! তাই, অনেকে এই মন্দিরকে 'জীবন্ত কালীর মন্দির'ও বলে থাকেন। দেবী এখানে ছোট্ট মেয়ে বা বালিকা রূপে পূজিতা হন।

০২ ১০

দেবীর বালিকা রূপ: দেবী শ্যামসুন্দরী এখানে পঞ্চম বর্ষীয়া বালিকা রূপে পূজিতা হন। উগ্র বা করাল রূপের বদলে তিনি সদা হাস্যময়ী। তাঁর ভুবনমোহিনী হাসির জন্য তিনি বিখ্যাত। বালিকা রূপের কারণে এই মন্দিরে অম্বুবাচী পালিত হয় না।

Advertisement
০৩ ১০

অমাবস্যার রাতে মায়ের অলৌকিক লীলা: ভক্তদের দাবি, প্রতি অমাবস্যার রাতে দেবী শ্যামসুন্দরী মন্দির চত্বরে হেঁটে বেড়ান! শোনা যায়, তিনি নাকি কথাও বলেন ফিসফিস করে! অনেক সেবায়েত নিঃশ্বাস ফেলার শব্দ এবং নূপুরের আওয়াজ শুনেছেন বলে দাবি করেন! কেউ কেউ তাঁকে চোখের পলক ফেলতে দেখেছেন বলেও দাবি করেন!

০৪ ১০

দরিদ্রের প্রতি মায়ের মমতা: কথিত, এক মহালয়ায় পূজারী ভোগের জন্য বাজারে যাচ্ছিলেন। পথে নীল রং মাখা একটি ছোট মেয়ে তাঁর কাছে চাল ও কলা খেতে চায়। পূজারী তাঁকে কাজ করে খেতে বলেন এবং মেয়েটিকে ধাক্কা দেন। মেয়েটি বলেন, 'যদি কাজ করেই খেতে পারতাম, তবে তোমার কাছে কেন আসতাম?'

০৫ ১০

পূজারীর অলৌকিক দর্শন: সেই রাতে পূজারীর মনে হয়, অন্ধকারে দেবীর মূর্তি যেন অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে! তিনি পায়ের শব্দ ও নূপুরের আওয়াজ শুনতে পান। প্রদীপ তুলে ধরতেই সেই ছোট্ট মেয়েটির মুখ মূর্তির সামনে দেখতে পান! মেয়েটি বলে, 'আমি শুধু ধনীর নই, দরিদ্রেরও মা।'

০৬ ১০

নিত্য ভোগ ও আরাধনার নিয়ম: সেই অলৌকিক ঘটনার পরে দেবী 'কন্যা রূপ'-এ পূজিতা হতে শুরু করেন। দেবী নিজেই তাঁর নিত্য প্রসাদ স্থির করে দেন। তাঁর প্রধান নৈবেদ্য হল, পাকা কলা ও এক মুঠো আতপ চাল। এই মন্দিরে বলি বা মাছ-মাংস ভোগ দেওয়ার রীতি নেই।

০৭ ১০

অমাবস্যার বিশেষ পুজো: প্রতি অমাবস্যায় এই মন্দিরে বিশেষ আরাধনা হয়। পুজো করা হয় অন্ধকারে মাত্র একটি প্রদীপ জ্বালিয়ে। অনেকেই এই সময়ে দেবীর উপস্থিতি অনুভব করেছেন বলে বিশ্বাস করেন! ভক্তরা দূর-দূরান্ত থেকে এই অমাবস্যার পুজো দেখতে আসেন।

০৮ ১০

ভক্তদের বিশ্বাস ও মনোবাঞ্ছা পূরণ: ভক্তদের অটুট বিশ্বাস, দেবী শ্যামসুন্দরী কখনও কাউকে খালি হাতে ফেরান না। ভক্তের কাতর প্রার্থনায় তিনি ঠিক সাড়া দেন এবং মনোবাঞ্ছা পূরণ করেন বলে প্রচলিত বিশ্বাস। মা সব সময়ে তাঁর সন্তানদের অন্ন সংস্থানের ব্যবস্থা করেন।

০৯ ১০

মন্দিরের বিশেষত্ব: মন্দিরের বেদীতে শ্যামসুন্দরীর পাশে বসে থাকেন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা। তাঁরা দেবীর সন্তানের মতো বা 'পাহারাদার' হিসাবে থাকেন। শ্যামসুন্দরীর পাশের ঘরেই ভৈরবের অবস্থান। দেবীর সেবায় নিয়োজিত ভক্তরা তাঁর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করেন।

১০ ১০

শ্যামসুন্দরী নামের নেপথ্য কারণ: প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, দেবীর এক বিশেষ ভক্ত তাঁর পরিবারের মধ্যে সবচেয়ে শ্যাম বর্ণের ছিলেন। সেই কারণে তিনি ছোটবেলা থেকে দুঃখ পেতেন। এক আত্মীয়ের বাড়িতে দেবী কালীর ছবি দেখে তিনি জানতে চান, ইনি কে? সেই আত্মীয় তাঁকে জানান, ইনি হলেন 'শ্যামা কালী', যাঁর থেকেই দেবীর নাম শ্যামসুন্দরী হয়! প্রসঙ্গত, সম্প্রতি শ্যামসুন্দরী কালী মন্দিরের ঠিকানা বদল হয়েছে। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement