দুর্গাপুজোর ঠিক পরেই বাংলার ঘরে ঘরে পুজো পান ধনদেবী। এমনকী যে যে মণ্ডপে দুর্গাপুজো হয় সেখানেও পূজিত হন লক্ষ্মী। দুর্গাপুজোর ঠিক পরের পূর্ণিমাকে বলা হয় কোজাগরী। কিন্তু কেন এমন নাম? কেনই বা এই দিন রাত জাগতে হয়?
‘কোজাগরী’ কথাটি এসেছে ‘কে জাগতী’ থেকে। অর্থাৎ কে জেগে আছ? জনশ্রুতি অনুযায়ী, কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিনই দেবী লক্ষ্মী মর্ত্যে নেমে আসেন। বাড়ির দরজা খোলা থাকলে, প্রদীপের আলোয় ভরা থাকলে ধনদেবী সেখানে প্রবেশ করেন।
অন্য দিকে এদিন যার বাড়ির দরজা বন্ধ থাকে, ঘর অন্ধকার থাকে সেখানে দেবী প্রবেশ করতে পারেন না। ফিরে যান আশীর্বাদ না দিয়েই।
তাই কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিন রাত জাগার রীতি আছে, যাতে দেবী এসে ডাকলে দরজা খোলা পান। সনাতন ধর্মে বিশ্বাস করা হয় কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিন যাঁরা রাত জেগে দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করেন দেবী তাঁদের দুই হাত ভরে আশীর্বাদ করেন। তাই এই দিনটির এমন নাম এবং এ দিন রাত জাগার প্রচলন আছে।
শ্লোকে বলা হয়, "নিশীথে বরদা লক্ষ্মীঃ। তস্মৈ বিত্তং প্রযচ্ছামি অক্ষৈঃ ক্রীড়াং করোতি যঃ।।" তাই অনেকে বিশ্বাস করেন কোজাগরী পূর্ণিমার রাতে যিনি তার জেগে পাশা খেলেন তাঁকে দেবী ধনসম্পদ দেন।
কারণ যাই হোক, লক্ষ্মীপুজোর দিন তাই আজও বাংলার ঘরে ঘরে সন্ধ্যার পরই দেবীর আরাধনা শুরু হয়। শোনা যায় কাঁসর, ঘণ্টার শব্দ।
বেজে ওঠে শঙ্খ, দেওয়া হয় উলুধ্বনি। গভীর রাত পর্যন্ত চলে ধনদেবীর আরাধনা।
চলতি বছর ৬ অক্টোবর কোজাগরী পূর্ণিমা শুরু হচ্ছে, ৭ অক্টোবর সেটি ছেড়ে যাচ্ছে। এই বছর তাই দেবী লক্ষ্মীর আরাধনার শ্রেষ্ঠ দিন হল ৬ অক্টোবর, সোমবার।
লক্ষ্মীপুজোর দিন ঘরে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালানো শুভ বলে মনে করা হয়। দেবীকে খিচুড়ি সহ নাড়ু, তালের ফোঁপড়া, ইত্যাদি নৈবেদ্য হিসেবে দেওয়ার রীতি রয়েছে।
আর লক্ষ্মীপুজো মানেই বাঙালির ঘর সেজে উঠবে আলপনা এবং লক্ষ্মীর পায়ের ছাপে। ( ‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’)। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।