প্রতীকী চিত্র
পুজো মানেই আকাশভরা পেঁজা তুলো, ঢাকের বাদ্যি, গলি ভরা আলোর খেলা। কিন্তু এ বছর সেই উৎসবের রঙে মিশে যেতে পারে বৃষ্টির জল। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আঞ্চলিক অধিকর্তা হাবিবুর রহমান বিশ্বাস জানান, ষষ্ঠীর দু’দিন আগেই বঙ্গোপসাগরে নতুন করে নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। তার প্রভাব পড়বে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে।
মহালয়ার ভোরে দেবীপক্ষের আহ্বান হওয়ার পরেও, আকাশে মেঘ জমে থাকার সম্ভাবনা। রবিবার ছিল মহালয়া, সে দিন থেকেই দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। কলকাতার আকাশ থাকছে মেঘলা, দুপুরের পর ভিজছে শহর।
হাওয়া অফিস বলছে, পঞ্চমী থেকে সপ্তমী পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের অনেক জায়গাতেই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলবে। উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। অষ্টমী, নবমী, দশমীতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ আরও বৃষ্টি নামতে পারে, বিশেষত উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে।
তবে উত্তরবঙ্গের ছবিটা আলাদা। সেখানকার বর্ষা ধীরে ধীরে বিদায় নিচ্ছে। ফলে উত্তরের প্যান্ডেলপ্রেমীরা বেশ নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন।
মৎস্যজীবীদের ইতিমধ্যেই সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। কারণ বৃহস্পতিবার থেকেই সমুদ্র উত্তাল হতে পারে। বাতাস বইতে পারে ঘণ্টায় ৪৫ কিলোমিটার বেগে। তাই এই সময়ে সমুদ্রে যাওয়াই ঝুঁকিপূর্ণ বেশ।
এ বছর যেহেতু বর্ষা বিদায় নিতে না নিতেই পুজো হচ্ছে, তাই বৃষ্টি এক প্রকার অবধারিতই ছিল। তবে নতুন নিম্নচাপের সম্ভাবনা পুজোয় ছাতা-রেইনকোটকে বাধ্যতামূলক সঙ্গী করে দেবে বলেই মনে করছেন আবহবিদেরা।
ঢাক, কাশির ধ্বনি, ধূপের গন্ধ— সবই থাকছে, সঙ্গে বৃষ্টির টুপটাপ শব্দ। এ বার প্যান্ডেল হপিং মানেই ছাতা হাতে ভিজে ভিজে পুজোর আসল মজা!
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।