সংগৃহীত চিত্র।
ছয় রকমের ইট। প্রতিটি দশ হাজার করে। এই একটি বস্তু দিয়েই সেজে উঠেছে মণ্ডপ। মধ্যমণি হয়ে দাঁড়িয়ে দেবী দুর্গা। না, খড় অথবা মাটি নয়, ২৬ ফুট উঁচু প্রতিমা পুরোটাই তৈরি ইট দিয়ে। ইট ছাড়া অন্য কোনও উপকরণ ব্যবহৃত হয়নি মূর্তি অথবা মণ্ডপ গড়ার কাজে। এ-ও সম্ভব! এমন ‘আশ্চর্য’ পুজোর নজির গড়ছে গৌরীবেড়িয়ার দুর্গোৎসব। ৯২তম বর্ষে এর থিম ‘মাটি ও জীবন’।
এখন প্রশ্ন হল, জল-কাদা ছাড়া কী ভাবে ইট দিয়ে তৈরি করা হল আস্ত দেবী প্রতিমা? প্রথমে সুবিশাল ইটের গাঁথনি বা স্তম্ভ তৈরি করা হয়েছে। তার উপরে চলেছে খোদাই পর্ব। ধীরে ধীরে দেবীর শরীরের আকৃতি, চোখ, কান, নাক এবং অন্যান্য সাজসজ্জা। সবটা জুড়েই নিখুঁত কারুকার্য। শিল্পী নিখিল মিস্ত্রীর হাতে ইটও পেয়েছে জীবন। মণ্ডপ তৈরিতে যে ইটগুলি ব্যবহৃত হয়েছে, তাতেও নিপুণ হাতের নকশা। এমন নজিরবিহীন পুজো স্বচক্ষে দেখতে হলে যেতেই পারেন গৌরীবেড়িয়া সর্বজনীন দুর্গোৎসবে।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।