Durga Puja Celebration

নোট ছাপার ফাঁকেই পুজো টাঁকশালে

পুজোর আয়োজন যাঁরা করেন, তাঁরা সকলেই টাঁকশালের কর্মচারী। এই টাউনশিপে সপরিবারে প্রায় এক হাজার কর্মচারী থাকেন।

Advertisement

বরুণ দে

শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৮ ০৯:৩০
Share:

শালবনি টাঁকশালের পুজো। নিজস্ব চিত্র।

বছরভর নোট ছাপানোর ব্যস্ততা। তারমধ্যেই পুজোর আনন্দ। বুধবার ছিল প্রতিপদ। রীতি মেনে এ দিন থেকেই পুজো শুরু হয়েছে শালবনির টাঁকশালে। টাউনশিপ চত্বরে এখন সাজো সাজো রব।

Advertisement

শহরের নামী পুজো কমিটির কর্তারা যখন ঠিক করেন পরের বছরের থিম, তখন এই টাউনশিপের বাসিন্দারা ভাবতে শুরু করেন আগামী পুজোয় কোন নাটক করবেন! পুজোর আয়োজন যাঁরা করেন, তাঁরা সকলেই টাঁকশালের কর্মচারী। এই টাউনশিপে প্রায় এক হাজার কর্মচারী পরিবার নিয়ে থাকেন। সকলে যে বাঙালি তা নয়। বিভিন্ন রাজ্যের বাসিন্দা রয়েছেন। বাঙালি, অবাঙালি সকলে মিলে দেবীর আরাধনায় ব্রতী হন।

টাঁকশালের পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা প্রদীপ খাস্কেলের কথায়, “শুরু থেকেই এখানে প্রতিপদ থেকে পুজো শুরু হয়। সেই রীতি মেনেই বুধবার এখানে পুজো শুরু হয়েছে। পঞ্চমী পর্যন্ত প্রতিদিন সকালে পুজো হবে। সন্ধ্যায় সন্ধ্যারতি হবে।” তাঁর কথায়, “সকলে মিলে পুজোর আয়োজনই এখানকার পুজোর বৈশিষ্ট্য। আর পুজোর অন্যতম আকর্ষণ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।” টাউনশিপের বাসিন্দারা এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। পুজোর ক’দিন চলে জমিয়ে আড্ডা। মহালয়ার দিনেই শারদীয়া উত্সবের সূচনা হয়েছে। প্রকাশিত হয়েছে শারদ স্মারক পত্রিকা ‘শূলিনী’। সোমবার থেকেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার ডান্ডিয়া নাচের আসর বসবে।

Advertisement

আরও পড়ুন: পটুয়া পাড়ার পুজো প্রস্তুতি

আরও পড়ুন: শহর মেদিনীপুরের পুজোর আকাশে এ বার ‘মা’-এর ছড়াছড়ি!​

টাউনশিপে কলাকেন্দ্র রয়েছে। কলাকেন্দ্রের সামনেই পুজোর প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে। এ বার পুজোর ১৯ তম বর্ষ। টাঁকশালের এক কর্মচারী বলছিলেন, “দুর্গাপুজোর যেমন আনন্দ রয়েছে, নবরাত্রিরও আনন্দও কম কিছু নয়।” শুধু পুজোর আনন্দ নয়। সঙ্গে থাকে পেটপুজো।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement