যে জিনিস একজনের কাছে আবর্জনা বা বাতিল, সেটাই অন্যজনের কাছে অমূল্য সম্পদ হয়ে উঠতে পারে! তার জন্য যেটা দরকার, তা হল যে কোনও বিষয়কে খতিয়ে দেখার বা অনুভব করার উপযুক্ত ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি!
মূলত, এই ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিকে আশ্রয় করেই এ বারের দুর্গাপুজোর থিম স্থির করেছেন উল্টোডাঙা বিধান সংঘ দুর্গোৎসব পুজো কমিটির সদস্যরা।
এই সদস্যদের মধ্যে অন্যতম হলেন - অরূপ দাস। তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের এ বারের পুজোর থিম - সৃষ্টিসুখ!
এই থিম ভাবনা নেপথ্যে রয়েছেন শিল্পী পূর্ণেন্দু দে।
উদ্যোক্তাদের ব্যাখ্যা, একজন শিল্পী তাঁর চিন্তা শক্তি বা সৃষ্টিশীলতা ব্যবহার করে যে কোনও সাধারণ জিনিস, এমনকী বাতিল জিনিস দিয়েও শিল্প সৃষ্টি করতে পারেন। তাতেই তিনি সুখী হন। এটাই সৃষ্টিসুখ!
এ বারের পুজোর মণ্ডপসজ্জায় ঠিক এই ভাবনাটাই তুলে ধরতে চেয়েছেন পুজোর উদ্যোক্তারা।
অরূপ আরও জানিয়েছেন, এটা তাঁদের পুজোর ৫৭তম বর্ষ। এ বারের আয়োজনে দর্শনার্থীদের জন্য অনন্য কিছু করতে চেয়েছিলেন তাঁরা।
সেই ভাবনা থেকেই উদ্যোক্তাদের এবং শিল্পী পূর্ণেন্দু দে-র মনে হয়, যে সমস্ত জিনিস ব্যবহারের পর সাধারণত ফেলে দেওয়া হয়, সেই তথাকথিত অতি সাধারণ ও বাতিল জিনিসপত্র দিয়েই তাঁরা পুজোর মণ্ডপ সাজাবেন।
এ বারের পুজো মণ্ডপ সাজাতে ব্যবহার করা হয়েছে - পুরনো টিনের শেড, কাচের ভাঙা বোতল, ভোজ্য তেলের ব্যবহৃত টিন, গুড়ের ব্যবহৃত টিন, ফাটা বল, ছেঁড়া চট, বস্তা, প্লাস্টিকের চেয়ার, টায়ার, বাতিল কাপড়, ফাইবার শিট প্রভৃতি।
উদ্যোক্তাদের আশা, তাঁদের এই আয়োজন এ বারের পুজোয় আমজনতার মন জয় করবেই। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।)