প্রতীকী চিত্র
যে সে মেলা নয়, এ হল লক্ষ্মীপুজোর মেলা। আর সেই মেলার মূল আকর্ষণ কিনা জিলিপি! হ্যাঁ, একে বারেই তাই। বাংলার ঝাড়গ্রাম জেলার বিনপুর ২ নম্বর ব্লকের হাড়দা গ্রামে ধুমধাম করে পূজিত হন দেবী লক্ষ্মী। তবে তিনি একা নন, এই গ্রামে একত্রে পূজিত হন বিষ্ণুর দুই স্ত্রী লক্ষ্মী এবং সরস্বতী। দুর্গাপুজোর মতো পাঁচ দিন ধরে চলে এই হাড়দা গ্রামের লক্ষ্মীপুজো। তবে এর মূল আকর্ষণ কিন্তু ওই জিলিপিই, যার টানে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমান।
জানা যায়, হাড়দা গ্রামের লক্ষ্মীপুজোর এই বিশেষ জিলিপি বানানো হয় চালের গুঁড়ো, বিউলির ডালের গুঁড়ো দিয়ে। এই জিলিপির বিশেষত্ব হল এটি বাড়িতে প্রায় দুই আড়াই সপ্তাহ রেখে দিলেও এটি নষ্ট হয় না সাধারণ জিলিপির মতো।
এই লোভনীয় জিলিপির টানেই এই সময় হাড়দা গ্রামে ভিড় জমান পর্যটকরা। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর তো বটেই, এমনকী ঝাড়খণ্ড থেকেও বহু মানুষ আসেন এই জিলিপির টানে।
তবে যদি ভেবে থাকেন এই গ্রামের মেলায় একাধিক জিলিপির দোকান বসে তবে কিন্তু একদমই ভুল সেটা। মাত্র একটি দোকানকেই বরাত দেওয়া হয়। নিলামের মাধ্যমে ঠিক হয় যে কে বা কারা এখানে দোকান দিয়ে পারবেন। তবে লক্ষ্মীপুজো কমিটির তরফে বেঁধে দেওয়া হয় জিলিপির দাম, যা ইচ্ছে সেই দাম নিতে পারেন না যিনি দোকান দেওয়ার বরাত পেয়েছেন। ১০০ টাকা কেজি থাকে এই বিশেষ জিলিপির দাম। জানা যায় এই পাঁচ দিনে কম বেশি করে ১৫০০-১৬০০ কুইন্টাল জিলিপি বিক্রি হয়।
তবে, লক্ষ্মী-সরস্বতীকে কিন্তু এই জিলিপি ভোগ হিসেবে নিবেদন করা হয় না। এটা কেবলই মেলার আকর্ষণ। এক বার ঘুরে আসবেন নাকি এই পুজো থেকে?
‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।