সংগৃহীত চিত্র।
দক্ষিণের অন্যতম জনপ্রিয় দুর্গাপুজো মণ্ডপ হল হাজরা পার্ক। এই দুর্গোৎসব কমিটি এ বার ৮৩ বছরে পদার্পণ করল। এই বছর তাঁদের থিম ‘দৃষ্টিকোণ’। তবে চমক এখানে নয়। চমক হল এই মণ্ডপের প্রতিমা ৩০ ফিট লম্বা! হ্যাঁ, প্রায় তিন তলা বাড়ি সমান তার উচ্চতা। আর এই প্রতিমা দেখতেই কাতারে কাতারে ভিড় জমাচ্ছেন মানুষ হাজরা পার্কে।
হাজরা পার্কের এ বারের ভাবনা থেকে ডিজাইন সবটাই করেছেন শিল্পী বিমান সাহা। আত্মপ্রকাশের অন্যতম শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ হিসেবে ব্যবহার করেছেন রংকে। মণ্ডপ এবং প্রতিমায় ব্যবহৃত প্রতিটি রং এক একটি গল্প বলছে যেন, তুলে ধরছে এক একটি অনুভূতি, দর্শন এবং চিন্তার রূপকে।
কিন্তু ‘দৃষ্টিকোণ’ কেন ভাবনার নাম? এই থিমের মাধ্যমে এই পুজো কমিটির তরফে এটি বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে যে কী ভাবে রং কেবল দেবীর রূপ বদলে দেয় সেটাই নয়, বরং আমাদের ভাবনা চিন্তাকেও বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। প্রতিটি রঙের যেন নিজস্ব কোনও গল্প আছে। মণ্ডপে এলে দেখা যাবে লক্ষ্মী, সরস্বতী দুজনেই রং, তুলি, আঁকায় ব্যস্ত।
দক্ষিণের ঠাকুর দেখতে এলে যতীন দাস পার্ক মেট্রো স্টেশন থেকে বেরিয়েই, আশুতোষ কলেজের পাশেই অবস্থিত এই মণ্ডপটি দেখে নিতে পারেন।
‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।