সংগৃহীত চিত্র
পুজো মানেই শুধু প্রতিমা নয়, থিম আর শিল্পীর হাতের কাজ। এ বার সেই কাজ দেখতে হলে ছুটতে হবে লিলুয়া। জানেন কি, এ বারের জগদ্ধাত্রী পুজোয় মায়ানমারের বিখ্যাত বৌদ্ধ মন্দির এসে হাজির হয়েছে হাওড়ার এই প্রান্তে? হ্যা, ঠিক ধরেছেন! লিলুয়া ফ্রেন্ডস ক্লাব তাদের ৩৩তম বছরে এমন এক অবিশ্বাস্য উদ্যোগ নিয়েছে।
লিলুয়া রেল কলোনির এই ক্লাবের পুজো মানেই নতুন চমক। আর এ বছর তাদের মণ্ডপসজ্জার থিম— মায়ানমারের ঐতিহাসিক হসিনবিউমে প্যাগোডা। শুভ্র এই মন্দিরের ভেতরের কারুকার্য গড়তে শিল্পীরা ব্যবহার করেছেন একে বারে সাদামাটা জিনিস, পাঠকাঠি এবং আইসক্রিমের কাঠি! ভাবা যায়, এই সামান্য জিনিস দিয়েই তৈরি হয়েছে এক বিশাল স্থাপত্য! শিল্প আর আবেগের এমন বুনন সত্যিই দেখার মতো।
সম্প্রত্তি ২৮ অক্টোবর, এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মণ্ডপের দ্বার খুলেছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লোকসভার সদস্য সায়নী ঘোষ। শিল্প আর রাজনীতির এমন মেলবন্ধন উৎসবের মেজাজ যেন আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। শুধু চোখ জুড়োনো মণ্ডপসজ্জা কেন, কানেও ছিল প্রশান্তি। পুজোর অঙ্গ হিসেবে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় গান গেয়ে দর্শকদের মন ভরিয়ে দিয়েছেন জনপ্রিয় গায়িকা মোনালী ঠাকুর।
ক্লাবের সভাপতি শ্রী কৈলাশ মিশ্র এবং তাঁর টিমের এই প্রয়াস সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। দূর দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আসছেন এই কারুকার্য দেখতে। শুধু মণ্ডপেই শেষ নয়, বিস্তীর্ণ রাস্তা সেজে উঠেছে চোখ-ধাঁধানো আলোকসজ্জায়। যেন এক উৎসবের নগরী! রসবোধ আর সৃজনশীলতার এমন মিশেলে এক আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়েছে লিলুয়ার রেল কলোনিতে। ভিড় জমছে মেলাতেও।
পথ নির্দেশিকা:
বিকেলের পর থেকে ভিড় বাড়ছে। তাই সন্ধ্যার পরে টোটো ধরলে ঢুকতে-বেরোতে সুবিধা হতে পারে।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।