প্রতীকী চিত্র।
চলতি বছরের দুর্গাপুজোয় তেলেঙ্গাবাগানের থিম ছিল অচলায়তন। মূলত কুসংস্কারের অচলায়তন ভাঙার বার্তা দিয়েছিল কলকাতার এই ক্লাব। আপনি যদি পুজোর সময় সেই ক্লাবের মণ্ডপ না দেখে থাকেন, আর জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় চন্দননগর যাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন তাহলে লালবাগান পাদ্রী পাড়ার পুজো মণ্ডপে ঢুঁ মারতে ভুলবেন না যেন!
বিভিন্ন ধরনের কুসংস্কার যেমন বিড়াল রাস্তা কাটলে দাঁড়িয়ে পড়া, মাঙ্গলিক হলে শিবের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া, ইত্যাদির বিরুদ্ধে বার্তা দিয়েছে এই মণ্ডপ। কলকাতার মণ্ডপটির মতো এখানেও একটি অচল বা স্থির চিত্র রাখা থাকবে। সেটিকে স্ক্যান করলেই সেটা নড়াচড়া করবে বা সচল হবে। মণ্ডপে ঢোকার মুখেই এই ছবি এবং কিউআর কোড রাখা, সেটি স্ক্যান করলেই সচল চিত্রটি দেখতে পারবেন সকলে। ‘অচলায়তন’ বানাতে লালবাগানে ব্যবহৃত হয়েছে প্লাইউড, কাঠ, বাঁশ, সিমেন্ট, ইট।
ভিতরে প্রবেশ করলে দেখা যাবে লাল শাড়ি পরে সিংহের উপর অধিষ্ঠাত্রী দেবী। সঙ্গে রয়েছে ডাকের সাজ। এই বছর চন্দননগরে ঠাকুর দেখতে গেলে এই প্যান্ডেলে একবার ঢুঁ মারতে পারেন।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।