Tala Prattoy Durga Idol Immersion

গঙ্গায় বিসর্জন নয়, মাঠেই প্রতিমা নিরঞ্জন করে টালা প্রত্যয়! কেন?

টালা প্রত্যয় বিগত কয়েক বছর ধরে আর গঙ্গায় প্রতিমা বিসর্জন দিচ্ছে না। বরং প্যান্ডেলেই প্রতিমা নিরঞ্জনের ব্যবস্থা করছে।

Advertisement

আনন্দ উৎসব ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৫ ১১:৪২
Share:

সংগৃহীত চিত্র।

শহরের অন্যতম খ্যাতনামা পুজো টালা প্রত্যয়। প্রতি বছরই এই ক্লাবের থিম লাখ লাখ মানুষকে টেনে আনে। তাদের শিল্প, ভাবনা, প্রতিমার চমক মুগ্ধ করে দর্শনার্থীদের। এ বারও তার অন্যথা হয়নি। তবে এই ক্লাব বিগত কয়েক বছর ধরে আর গঙ্গায় প্রতিমা বিসর্জন দিচ্ছে না। বরং প্যান্ডেলেই প্রতিমা নিরঞ্জনের ব্যবস্থা করছে। কিন্তু কেন?

Advertisement

টালা প্রত্যয়ের মাঠেই প্রতিমা নিরঞ্জনের ব্যবস্থা কেন করা হয় সেই বিষয়ে আনন্দবাজার ডট কমকে পুজো উদ্যোক্তা ধ্রুবজ্যোতি বসু বললেন, "আমরা খুব একটা গঙ্গা দূষণ করতে চাই না। সিসা মেশানো রং ব্যবহার করা হয়, এটিকে নদীমাতৃক সভ্যতার দেশে যত বেশি না আনতে পারি সেই কারণেই আমাদের এই প্রয়াস ২০২২ সাল থেকে।" তিনি এও জানান যে তাঁদের যে আকৃতির প্রতিমা হয় সেটা গঙ্গায় নিয়ে যাওয়াও সম্ভব হয় না। ধ্রুবজ্যোতি জানালেন, দু’টো দমকলের গাড়ির জল লাগে তাঁদের প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য। তাতেই মোটামুটি হয়ে যায়।

কিন্তু এই ভাবে দুই গাড়ি জল দিয়ে প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয় যে, এতে তো জলের অপচয় হচ্ছে? ধ্রুবজ্যোতি জানালেন একে বারেই সেটা হয় না। কারণ ব্যাখ্যা করে জানালেন, "এটা একদমই জল অপচয়ের বিষয় নয়। পরিশ্রুত পানীয় জল এখানে ব্যবহার করা হয় না। আর দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, যে পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে তাতে পুকুরগুলি এমনই জলে ভরে আছে, সেখান থেকে একটু জল নিয়ে যদি দেবী প্রতিমার নিরঞ্জন করা হয় তাতে জল অপচয় হয় না। আর এটা টালা প্রত্যয়ের মাঠ, যে জল ব্যবহৃত হচ্ছে সেটা তো মাটির নিচেই চলে যাচ্ছে, আমাদের এখানে বিজ্ঞান সম্মত ভাবে প্রণালী বানানো আছে যাতে এই জল মাটির নিচে চলে যেতে পারে।" প্রতিমা প্রতিমা নিরঞ্জনের পাশাপাশি যে তাঁরা গ্রাউন্ড ওয়াটার রিচার্জের ব্যবস্থা করে রেখেছেন জল অপচয় আটকাতে সেটাও জানিয়ে দিলেন।

Advertisement

‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।

এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement