নিজস্ব চিত্র
শান্তিপুরের সূত্রগড়ে জগদ্ধাত্রী পুজো মানেই এক অন্য রকম আবেগ আর উদ্ভাবনের উৎসব। জেলার গর্ব এই পুজো বারবার থিমনির্ভর উপস্থাপনার জন্য নজর কেড়েছে। গত বছরগুলিতে যেখানে হারিয়ে যাওয়া লোক-সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবি ছিল, সেখানে এ বছর সাহাপাড়া বুড়ো বারোয়ারি এনেছে এক নতুন চমক। মণ্ডপ সেজেছে জনপ্রিয় কার্টুন চরিত্র 'ছোটা ভীম'-এর গ্রাম 'ঢোলকপুর পুজো ফেস্টিভ্যাল'-এর আবহে।
নিজস্ব চিত্র
মণ্ডপের এক পাশে ভীমের ঢোলকপুর দুর্গ, অন্য দিকে জমজমাট বাজার। শিল্পী শেখর মালিকের হাতের ছোঁয়ায় পুরো এলাকাটাই যেন এক লহমায় পৌঁছে গিয়েছে রঙিন কার্টুন-দুনিয়ায়। শুধু ভীম নয়, পাশেই হয়তো দেখা মিলতে পারে দুষ্টু ডাকু মঙ্গল সিংয়ের, কিম্বা গ্রামের প্রান্তে কোনও গাছের ডালে লুকিয়ে থাকা ভয়ঙ্কর চুরেইল-এর! আর সঙ্গে তো আছেই ঢোলকপুরের হাসিখুশি গ্রামবাসীরা। আলোকসজ্জা আর ইনস্টলেশনে সেই পরিচিত চরিত্রগুলি এমন ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে যে, মনে হবে যেন পর্দার দুনিয়াটাই নেমে এসেছে মণ্ডপে!
নিজস্ব চিত্র
নিজস্ব চিত্র
ক্লাব সদস্যরা জানিয়েছেন, প্রায় পনেরো-ষোলো দিন ধরে এই বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে। থিমের মূল আকর্ষণই হল বাচ্চাদের জন্য অঢেল আনন্দের পসরা। যারা ছোটা ভীম দেখতে ভালবাসে, তাদের কাছে এই মণ্ডপ নিঃসন্দেহে এক স্বর্গরাজ্য। ছোটা ভীম, ঢোলকপুর দুর্গ, চুটকি, রাজু—এই চরিত্রদের সঙ্গে সরাসরি দেখা হওয়ার এ এক অসাধারণ সুযোগ! অভিভাবকরাও তাই এই থিমে বেজায় খুশি। ঐতিহ্য আর আধুনিক থিমের এই দারুণ মিশেলই সূত্রগড়ের জগদ্ধাত্রীকে দিয়েছে এক ভিন্ন মাত্রা।
নিজস্ব চিত্র
এই অভিনব থিম শুধু বাচ্চাদেরই নয়, সব বয়সের মানুষকে নস্টালজিয়ায় ভাসিয়ে দেবে। গতানুগতিকতার বাইরে গিয়ে এই ধরনের মন-ভোলানো উপস্থাপনা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।