প্রতীকী চিত্র
কৈলাসে মা দুর্গার ফিরে যাওয়ার বিষাদের রেশ কাটতে না কাটতেই দরজায় কড়া নাড়ছেন তাঁর সম্তান—দেবী লক্ষ্মী। কোজাগরী পূর্ণিমার আলোয় সারা রাত জেগে বরণ করে নেওয়ার পালা শস্য আর ধনদেবীর। তবে বীরভূমের শান্তিনিকেতন লাগোয়া কোপাই নদীর তীরবর্তী খেজুরডাঙা গ্রামের কাছে এই পুজোটা শুধু আরাধনা নয়, এই পুজোই তাঁদের বেঁচে থাকার গল্প।
আগে বর্ষা এলেই কোপাইয়ের জল ছাপিয়ে বানভাসি হত গোটা গ্রাম। ঘরবাড়ি, গরু-বাছুর, নিত্য দিনের জিনিস—সব ভেসে যেত। বিদ্যুৎহীন অন্ধকারে দিন কাটত গ্রামের। সেই ঘোর দুর্দিনে দুর্গাপুজো বা কালিপুজোর জাঁকজমকের কথা ভাবাও ছিল বিলাসিতা। তখন গ্রামের মা-ঠাকুমারা কম খরচে মোমবাতি আর হ্যাজাকের আলোয় শুরু করলেন এক নতুন পথ—ছোট্ট করে লক্ষ্মীদেবীর আরাধনা। লোকমুখে প্রচলিত, সেই শুরু থেকেই নাকি গ্রামের দুর্দশা কমতে শুরু করল। হয়তো সেটা কেবল সময়ের ফেরা নয়, ছিল এক গভীর বিশ্বাস আর ভালবাসার জোর।
আজও খেজুরডাঙা সেই বিশ্বাসকে আগলে রেখেছে। গ্রামের ২৫টি কোড়া সম্প্রদায়ভুক্ত পরিবারের কাছে এই কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোই প্রধান এবং এক মাত্র উৎসব। গ্রামের বেশিরভাগই কৃষক পরিবার। তাই শস্যের দেবীর প্রতি তাঁদের ভক্তি অটুট। এখানে কোনও বাড়িতে আলাদা করে লক্ষ্মীর ঘট বসে না, একটাই সর্বজনীন পুজো। এ যেন গ্রামের সব দুঃখ, সব আনন্দকে এক মণ্ডপে জড়ো করা। বাঁশ পুঁতে মণ্ডপ তৈরি করা থেকে শুরু করে পুজোর সব কাজ গ্রামবাসীরাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে করেন। গোয়ালপাড়ার মৃৎশিল্পীর হাতে গড়া প্রতিমা আসে গ্রামে।
এই সময় আত্মীয়-স্বজন যে যেখানে থাকেন, সকলে গ্রামে ফিরে আসেন। সারা বছর কাজের ফাঁকে যে দূরত্ব তৈরি হয়, তা যেন ঘুচে যায় এই এক রাতে। লক্ষ্মীকে তুষ্ট করতে চলে নানা আয়োজন। দেবীর প্রিয় নারকেলের নানা মিষ্টি, তার সঙ্গে খিচুড়ি, লুচি, সুজি—ভোগের উপকরণেও থাকে আন্তরিকতার ছাপ।
‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।