Bonedi Barir Pujo

ঘিয়ের ব্যবসা থেকে শুরু করে জমিদারি! বর্ধমানের ভট্টাচার্য পরিবারের ১৫০ বছরের পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে কোন ইতিহাস

ইংরেজি ১৮৭৫ খ্রিষ্টাব্দ (বাংলা ১২৮২) নাগাদ এই পরিবার দুর্গাপুজো শুরু করে, সেই থেকে এখনও নিয়মিত ভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে ভাণ্ডারডিহি গ্রামের ভট্টাচার্য পরিবারের দুর্গাপুজো।

Advertisement

আনন্দ উৎসব ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২৫ ১৫:১২
Share:

প্রতীকী চিত্র

বর্ধমান-নবদ্বীপ সড়কপথে পূর্ব বর্ধমান জেলার একটি সমৃদ্ধশালী গ্রাম ভাণ্ডারডিহি। এই গ্রামের ভট্টাচার্য পরিবার এই এলাকার অন্যতম প্রাচীন, ঐতিহ্যবাহী বংশ। এই বংশের আদিপুরুষ সদাশিব সার্বভৌম (ভট্টাচার্য) ভাণ্ডারডিহি গ্রামে একটি টোল (পাঠশালা) স্থাপন করে পড়াতে শুরু করেন। তাঁরই এক বংশধর গৃহত্যাগ করে বিহারে চলে যান, সেখানে গিয়ে তিনি ঘিয়ের ব্যবসা শুরু করেন এবং প্রচুর সম্পদ উপার্জন করেন। পরবর্তীকালে তিনি নিজের গ্রামে ফিরে বর্ধমানের মহারাজের কাছ থেকে কয়েকটি মহালের খাজনা আদায়ের দায়িত্ব (বরাত) পান। এভাবেই এই ভট্টাচার্য পরিবারের জমিদারির সূচনা ঘটে।

Advertisement

ইংরেজি ১৮৭৫ খ্রিষ্টাব্দ (বাংলা ১২৮২) নাগাদ এই পরিবার দুর্গাপুজো শুরু করে, সেই থেকে এখনও নিয়মিত ভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে ভাণ্ডারডিহি গ্রামের ভট্টাচার্য পরিবারের দুর্গাপুজো। গত বছর এই পুজোর সন্ধি শতবর্ষ (১৫০তম বছর) পালিত হয়েছে এবং এই বছর এটি ১৫১তম বর্ষে পদার্পণ করেছে।

বর্তমানে পুজোটি ভট্টাচার্য পরিবারের তিন জন শরিক মিলে আয়োজন করেন। তিন শরিকই পূজায় সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করেন। এক জন শরিক ষষ্ঠী ও সপ্তমীর পুজোর দায়িত্বে থাকেন। আরেক জন অষ্টমী ও সন্ধিপুজোর দায়িত্ব পালন করেন। তৃতীয় জন নবমী ও দশমী পুজোর আয়োজন করেন।

Advertisement

প্রতিমা, ভূরিভোজ এবং আনুষঙ্গিক কিছু খরচ তিন শরিক মিলে ভাগাভাগি করে নেন। বাকি অন্যান্য ব্যয়ের দায়িত্ব যাঁর পালা পড়ে, তিনি বহন করেন।

কালিকাপুরাণ অনুসারে এই পুজো অনুষ্ঠিত হয়। সপ্তমী ও সন্ধিপুজোয় ছাগবলির রীতি রয়েছে। নবমীতে পাঁঠা-সহ চালকুমড়ো এবং আখ বলি দেওয়া হয়। প্রথমে দুর্গাদালানটি মাটির ও খড়ের ছাউনি দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। বর্তমানে সেখানে জোড়াটিনের ছাউনি রয়েছে। চেষ্টা চলছে পাকা দুর্গাদালান নির্মাণ করে মন্দির গড়ার।

সারা বছর এই ভট্টাচার্য পরিবারের সদস্যরা যেখানেই থাকুন না কেন, পুজোর সময় সবাই গ্রামে ফিরে আসেন। এটি জেলার অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী দুর্গাপুজো হলেও, প্রচারের আলো থেকে কিছুটা দূরে থাকায় অনেকেই এই পুজোর বিশেষত্ব সম্পর্কে জানেন না।

‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।

এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement