সংগৃহীত চিত্র।
চন্দননগর মানেই গগনচুম্বি সমস্ত প্রতিমা, আর আলোর খেলা। কিন্তু এই ফরাসডাঙায় এমন কিছু বনেদি বাড়ি আছে যেখানে সাড়ম্বরে দেবী জগদ্ধাত্রীর আরাধনা হয়ে থাকে। আর তেমনই এক বাড়ি হল ঘটক পরিবারের জগদ্ধাত্রী পুজো।
বিগত ২০০ বছর ধরে এই বাড়িতে দেবী জগদ্ধাত্রীর আরাধনা হয়ে আসছে। এই বাড়ির প্রতিমা তপ্তকাঞ্চনবর্ণা। অর্থাৎ কমলা রঙের দেবী। দেবীর দুই পাশে থাকেন জয়া এবং বিজয়া।
ঘটক বাড়ির পুজোর অন্যতম রীতি হল ধুনো পোড়ানো। বাড়ির মহিলার দুই হাত এবং মাথায় মালসা রেখে ধুনো পোড়ানো হয়ে থাকে। এই বাড়িতে দেবীকে আমিষ ভোগ দেওয়া হয়। থাকে ৩ রকমের অন্নভোগ অর্থাৎ ভাত, পোলাও এবং খিচুড়ি। থাকে মাছের বিভিন্ন পদ যার মধ্যে একটি পদ জিওল মাছ দিয়েই বানানো হয়ে থাকে। দেওয়া হয় ৫ বা ৭ রকমের মিষ্টি, যার মধ্যে সূর্য কুমার মোদকের স্পেশ্যাল ক্ষীর এবং লেবু সন্দেশ থাকেই। বলি প্রথা এখনও চালু রয়েছে এই বনেদি বাড়িতে।
তবে আর কী এই বছর চন্দননগরে ঠাকুর দেখতে এলে এই বাড়ির ঠাকুর দেখা কিন্তু একদম মিস করবেন না!
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।