সংগৃহীত চিত্র।
কলকাতার বনেদি বাড়িগুলির দুর্গাপুজো নিয়ে কথা উঠলে একটি বাড়ির কথা বলতেই হয়। সেটি হল - তালতলার ডাক্তার লেনে অবস্থিত নীলমণি দত্ত ঠাকুর বাড়ি। প্রত্যেক শরতে এই বাড়িতে দশভূজার পুজো হয়ে চলেছে গত প্রায় আড়াইশো বছর ধরে।
শোনা যায়, দত্ত বাড়ির এই পুজোর শিকড় ছড়িয়ে রয়েছে হুগলি জেলার বেগমপুরে। আসলে তালতলার এই বাড়িতে জগদ্ধাত্রী পুজোর চল আগে শুরু হয়। সেই পুজোর দায়ভার এই পরিবারের হাতে এসেছিল উইলের মাধ্যমে! দুর্গাপুজো শুরু হয় তারপর।
তথ্য বলছে, আগেই হুগলির বেগমপুরে এই পরিবারের সদস্যরা দুর্গাপুজো করতেন। সেই পুজোর সূচনা করেছিলেন নীলমণি দত্তের দাদা পূর্ণচাঁদ দত্ত। কিন্তু, পরবর্তীতে নীলমণি আলাদাভাবে কলকাতার তালতলার এই বাড়িতে পুজো শুরু করেন। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল, পুজোয় জাঁকজমক আরও বাড়ানো।
ব্রিটিশ আমলে এই তালতলাতেই টেলারিংয়ের ব্যবসা ছিল নীলমণির। তৈরি হত কোট-প্যান্ট। যা পরতেন ভিনদেশি ইংরেজরা। বিলিতি ক্রেতাদের বাড়বাড়ন্তের সুবাদে নীলমণির ব্যবসা ফুলে ফেঁপে উঠেছিল। এই তালতলা এলাকায় একের পর এক সম্পত্তি তৈরি করেছিলেন তিনি। আর, সেই কারণেই মহা ধুমধাম করে দুর্গাপুজো করতে চেয়েছিলেন নীলমণি দত্ত।
আজ অবশ্য নীলমণি দত্ত ঠাকুর বাড়ির পুজোয় আগেকার সেই জৌলুস দেখা যায় না। কিন্তু, প্রায় আড়াইশো বছর আগে যে রীতি শুরু হয়েছিল, তা এখনও নিয়ম ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করা হয়।
‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।