প্রতীকী চিত্র।
প্রায় ৩৫০ বছর আগের ঘটনা। শান্তিপুরের বড় গোস্বামী বাড়ির সকলের মাথায় হাত। বাড়ির গৃহদেবতা হঠাৎ নিখোঁজ! কী হবে কী হবে…
ঠিক হয়, পরিবারের সমস্ত মহিলারা মিলে কাত্যায়নী ব্রত শুরু করবেন। যেমন কথা, তেমন কাজ। আর দিন কয়েক বাদেই সুসংবাদ। দেখা দিয়েছেন ইষ্টদেবতা রাধারমণ। বাড়ির পাশের দিঘিতে ভেসে উঠেছে সেই বিগ্রহ। ব্যস, সেই থেকেই শুরু দেবী কাত্যায়নীর আরাধনা…
কিন্তু কী ভাবে শান্তিপুর এল এই বিগ্রহ? সেই গল্প জানতে পিছিয়ে যেতে হবে আরও কিছু বছর আগে। কথিত আছে, এক সময়ে গোস্বামী বাড়ির এই কুলদেবতা পূজিত হতেন দোল গোবিন্দ রূপে। মুঘল আক্রমণের সময়ে যশোর রাজপরিবার থেকে বসন্ত রায় এই বিগ্রহ রক্ষার দায়িত্ব তুলে দেন তাঁর গুরুদেব মধুরেশ গোস্বামীর হাতে। তিনিই সুদূর যশোর থেকে এই বিগ্রহ নিয়ে আসেন শান্তিপুরে। তার পরেই তাঁর হারিয়ে যাওয়া এবং কাত্যায়নী পুজো শুরু…
‘কাত্যায়নী’ অর্থাৎ নবদুর্গার নটি রূপের মধ্যে দেবীর ষষ্ঠ রূপ। প্রতিমার দুটি পূর্ণাঙ্গ হাত এবং আটটি ছোট ছোট হাত। মাটির সাজসজ্জা এবং কার্তিক ও গণেশ থাকেন বিপরীতে। মূল আকর্ষণ হল, দেবী এখানে অশ্বারোহী অর্থাৎ এই দুর্গার বাহন পশুরাজ সিংহ নন, বরং দুর্গাপুজোয় দেবীর বাহন হিসেবে থাকে সাদা ঘোড়া। বড় গোস্বামী বাড়ির এই পুজোয় সম্পূর্ণ বৈষ্ণব রীতি মেনেই আরাধনা করা হয় দেবী কাত্যায়নীকে।
সাদা ঘোড়ার পিঠে দেবী কাত্যায়নী
আয়োজনেও কোনও ভাটা নেই। দেবীকে নিবেদন করা হয় বাল্যভোগ ও ৩৬ রকমের পদ। পুজোর চার দিন প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০ মানুষ আসেন প্রসাদের জন্য। পুজোতে সাধারণত নারীদের ভূমিকাই বেশি। ষষ্ঠীতে বোধন এবং অষ্টমীতে সন্ধিপুজো। বৈষ্ণব মতে এখানে কোনও বলির প্রথা নেই। বরং সকলের মঙ্গল কামনায় অনুষ্ঠিত হয় মঙ্গলারতি।
‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।