আজও তাঁর শোভাযাত্রায় মেতে ওঠেন লক্ষ লক্ষ ভক্ত। আর তাঁদের সঙ্গে নেচে ওঠেন দেবীও। বিষয়টি গল্পকথা মনে হলেও দশকের পর দশক ধরে এই দৃশ্যেরই সাক্ষী শান্তিপুরবাসী।
বোম্বেটে কালী। শান্তিপুরের মূল আকর্ষণ। অত্যন্ত জাগ্রত মানা হয় দেবীকে। এই মূর্তির বিশেষত্ব হল শিবের বুকে তাঁর বাম পায়ের অবস্থান। সেই থেকেই নাম ‘বামা কালী’।
তাঁর রুদ্র রূপ, সুবিশাল চেহারা এবং বিসর্জনের আগে শোভাযাত্রার সময়ে তাঁর নাচ দেখে যেন শিহরণ জাগে দর্শনার্থীদের শরীরে।
এই শোভাযাত্রার সময়ে নিভিয়ে দেওয়া হয় শহরের আলো। জ্বলে কেবল মশাল। আর তখনই ভক্তদের সঙ্গে নাচেন উগ্ররূপী দেবী। এই অভূতপূর্ব এবং ভয়ঙ্কর দৃশ্য চাক্ষুষ করতেই শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন মানুষ।
প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো এই পুজো। শোনা যায়, এক সময়ে শহরে বৈদ্যুতিক আলো না থাকায় মশাল জ্বেলে বার করা হয় বামা কালীর শোভাযাত্রা।
শতাব্দী পেরিয়েও সেই রীতি এখনও অক্ষুণ্ণ রেখেছে শান্তিপুর।
পুজোর পরে অঞ্জলি হয়ে গেলে দেবীর মূর্তিকে বার করে নিয়ে আসা হয় মণ্ডপ থেকে। তখন থেকেই শুরু হয় বিসর্জনের প্রস্তুতি।
এর পরে ঘাট পর্যন্ত নিয়ে যেতে যেতে হয় নাচ।
একটি বাঁশের মাচায় করে দেবীর মূর্তি কাঁধে নিয়ে বয়ে চলেন ভক্তরা। পিছনে পিছনে আরও অগুন্তি ভক্তের সারি। সুবিশাল প্রতিমাকে নিয়ে কাঁধে বাঁশ থাকা অবস্থাতেই লাফিয়ে লাফিয়ে নাচের ভঙ্গি করেন ভক্তরা। দেখে মনে হয়, তাঁদের নেচে উঠছেন স্বয়ং দেবীও।
শান্তিপুরে দেবীর আরাধনা কিন্তু টানা চার থেকে পাঁচ দিন চলে না। বরং পুজোর পরদিনই বিসর্জনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। আর তার আগেই এই মনোরম নাচের দৃশ্য দেখতে জনতার ঢল নামে রাস্তায়। ( ‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’)। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।