প্রতীকী চিত্র।
বারোয়ারি ক্লাব তো শুনেছেন। কিন্তু তাই বলে বারোয়ারি পুকুর! আবার সেই পুকুরের টাকা দিয়ে একটা গোটা জগদ্ধাত্রী পুজোর আয়োজন করা মোটেই চাট্টিখানি কথা নয! কিন্তু বাস্তবে ঘটে এমনটাই, কোথায় হয় এই পুজো জানেন? চন্দননগরে।
শূরের পুকুরের জগদ্ধাত্রী পুজো হয় এই পুকুরের মাছ বিক্রি করে যে টাকা উপার্জন করা হয় সেটা দিয়ে। এই একটু অন্যরকমের পুজোর বিষয়ে শূরের পুকুর পুজো কমিটির সদস্য প্রসেনজিৎ রায় আনন্দবাজার ডট কমকে বলেন, "চন্দননগরে এত বড় পুজো করতে গেলে উপার্জনের কিছু একটা উৎস তো রাখতেই হবে। নিজস্ব পুকুর ২-৩ টে আছে। সেখানে মাছ চাষ করে আমাদের যেটুকু আয় হয় সেটা দিয়েই পুজো করি।"
তিনি এ দিন আরও জানান বিভিন্ন জায়গা থেকে মাছ শিকারি বা যাঁদের মাছ ধরা নেশা তাঁরা মাছ ধরতে আসেন। তাঁর কথায়, "আমাদের পুজো কমিটি ঠিক করে মাছ ধরার জন্য কত করে টিকিটের দাম করা হবে। কখনও ১০০০ টাকা, কখনও দেড় তো কখনও ৪০০০ টাকার টিকিট করা হয়।" এই বছর শূরের পুকুর পুজো কমিটির বাজেট ১৪ লাখ টাকা।
ধূপদানি, থালা, ইত্যাদি স্টিলের জিনিস দিয়ে সাজানো হয়েছে এ বারের পুজো মণ্ডপে। সেজে উঠেছেন দেবীও। চন্দননগরে এ বার জগদ্ধাত্রী পুজো দেখতে গেলে এখানে এক বার ঢুঁ মারতে পারেন। সাক্ষী থাকবে এক অন্য রকমের পুজোর।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।