নিজস্ব চিত্র
শহুরে ভিড়, পুজোর এই জাঁকজমক এড়িয়ে কটাদিন একটু একান্তে বা প্রিয়জনদের সঙ্গে কাটানোর পরিকল্পনা করছেন? কিন্তু এদিকে খুব চেনা জায়গায় যেতে চাইছেন না। তাহলে কী করণীয়? কেন বাড়ির পাশেই তো আছে অহল্যাভূমি, পুরুলিয়া। তবে চেনা জায়গায় নয়, বরং ঘুরে আসতে পারেন এই অফবিট জায়গাগুলি থেকে।
অফবিট পুরুলিয়া ভ্রমণ একেবারেই পূর্ণ হবে না সেখানকার এই ঝর্নাগুলি ছাড়া। তালিকায় কী কী রাখবেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
মাছকান্দা ঝর্না: এটি সম্পূর্ণ ভাবে জঙ্গলের মধ্যে অবস্থিত। পথ হারানোর তুমুল সম্ভাবনা রয়েছে। এই ঝর্নার কাছে দুটো পথে যাওয়া যায়। প্রথমটি ধরে গেলে ট্রেক করে একদম ঝর্নার উপর পর্যন্ত পৌঁছিয়ে যাওয়া যায়। আর দ্বিতীয়টি পাশের পাহাড়ের জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। কিছু দূর দিয়ে দুগ্ধসফেন মাছকান্দাকে সবুজ ভেদ করে দুরন্ত গতিতে তার গন্তব্যের উদ্দেশ্যে লাফিয়ে পড়তে দেখা যায়।
পিটিদিরি ঝর্না: এই ঝর্নাটি যেতে গেলে মাছকান্দার দ্বিতীয় রাস্তা থেকে আরও একটু এগোলেই জঙ্গলে ঢাকা পথ দেখা যাবে। সেই রাস্তা ধরে সবুজ দেখতে দেখতে গাড়ি করে এগিয়ে গেলে যে গ্রাম পড়বে সেখানে গাড়ি রেখে স্থানীয় কাউকে সঙ্গে নিয়ে সামান্য সহজ ট্রেক করেই পৌঁছিয়ে যাবেন পিটিদিরি ঝর্নায়। চাইলে এখানে স্নানও করা যাবে।
ছলছলি ঝর্না: এই ঝর্নায় যেতে গেলে গাইডের প্রয়োজন। গহীন অরণ্যে মধ্যে দিয়ে প্রায় ১-২ কিলোমিটার রাস্তা ট্রেক করে যখন ছলছলির কাছে পৌঁছবেন তার চঞ্চল রূপ দেখে মুগ্ধ হবেনই। মনে হবে সেখানে বসেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দিই।
তুর্গা ঝর্না: বামনি ঝর্না তো পুরুলিয়ার জনপ্রিয় জলপ্রপাত। সেই ঝর্নায় যাওয়ার পথেই পড়বে এই তুর্গা ঝর্না। একদম রাস্তার পাশেই। কেবল কয়েক ধাপ সিঁড়ি দিয়ে নেমেই পৌঁছিয়ে যাওয়া যাবে ঝর্নার কাছে।
ঘাটকোচা ঝর্না: দুটো ধারায় নেমে আসা এই ঝর্না যেমন দুরন্ত তেমন তার রূপ। এই ঝর্নার পাশে বসে থাকতে কিংবা চাইলে স্নান করতে পারবেন। এটিতেও সরু পথ ধরে কিছুটা ট্রেক করে যেতে হয়। তুর্গা ড্যামের পাশেই অবস্থিত এই ঝর্না।
কেবল ঝর্না নয়, অফবিট পুরুলিয়ার মধ্যে পড়ে পারডি ড্যাম এবং পাহাড়। সবুজ ঘেরা এই পাহাড় এর তার পাশেই শান্ত এই ড্যাম এক অদ্ভুত শান্তি এনে দেয় মনে।
এতদূর এলেন যখন তখন আর চেনা জায়গা, অর্থ খয়রাবেরা ড্যামের সূর্যাস্ত, মার্বেল লেক, মাঠা জঙ্গল, পাখি পাহাড়, চড়িদা-ও দেখে নিতে পারেন। ইচ্ছে থাকলে, সময় হলে ট্রেক করতে পারেন চেমটাবুরু পাহাড়ও। সঙ্গে যেন গাইড নিতে ভুলবেন না!
তবে আর কি! পুজোর তো কদিন বাকি, ট্রেন বা বাসের টিকিট কেটে ব্যবস্থা করে ফেলুন। থাকার জন্য একাধিক হোমস্টে, রিসোর্ট, হোটেল পেয়ে যাবেন বিভিন্ন রেঞ্জের। টোটো বা গাড়ি বুক করে এই সমস্ত জায়গাই ঘুরে ফেলতে পারবেন।
এই প্রতিদিনটি “আনন্দ উৎসব” ফিচারের একটি অংশ।