International news

গুলশন, শোলাকিয়ায় জড়িত সন্দেহে ৪ জেএমবি জঙ্গি গ্রেফতার

ঢাকার পাশেই গাজিপুরের টঙ্গিতে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) একটি প্রশিক্ষণ শিবিরে হানা দিয়ে চার জনকে ধরে ফেলল র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঢাকা শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৬ ১৮:২৩
Share:

ঢাকার পাশেই গাজিপুরের টঙ্গিতে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) একটি প্রশিক্ষণ শিবিরে হানা দিয়ে চার জনকে ধরে ফেলল র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। ধৃতদের মধ্যে আছেন জেএমবির দক্ষিণাঞ্চল প্রধান মাহমুদুল হাসান তনভির। মাহমুদুল হাসানের বাড়ি সিরাজগঞ্জে। তিনি যশোহর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। আটক অন্য জঙ্গিরা হলেন আশিকুল আকবর আবেদ, নাজমুস শাকিব এবং শরিয়ত উল্লাহ শুভ। আশিকুল আকবর আবেদ রংপুরের প্রাইম মেডিকেল কলেজের ছাত্র। নাজমুস শাকিব মাদ্রাসা ছাত্র। এবং শরিয়ত উল্লাহ শুভ যশোহরের এমএম কলেজের রসায়ন বিভাগের ছাত্র। বাংলাদেশ গোয়েন্দাদের সন্দেহ, ধৃতেরা গুলশন এবং শোলাকিয়ার নাশকতায় জড়িত থাকতে পারেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ: অদ্ভুত সময় এক

র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখার প্রধান মুফতি মাহমুদ খান জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে খবর মেলে টঙ্গির মুক্তারবাড়ি আউচপাড়া রোডের একটি ছ’তলা বাড়ির চারতলায় ঘাঁটি গেড়েছে জঙ্গিরা। বৃহস্পতিবার ভোররাতের অভিযানে চার জনকে আটক করা ছাড়াও উদ্ধার হয়েছে আটটি বোমা, পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, শতাধিক রাউন্ড গুলি, দু’টি কুড়াল, আটটি চাপাতি-ছুরি, কিছু ‘জেহাদি’ বই এবং বোমা তৈরির সরঞ্জাম।

Advertisement

মুফতি মাহমুদ খান আরও জানান, ইদের কয়েকদিন আগে পরিবার নিয়ে থাকার কথা বলে টঙ্গির এই বাড়িটি ভাড়া নেন তানভির। এর পর থেকেই এ বাড়িতে জঙ্গিদের আনাগোনা শুরু হয় বলে খবর মিলছিল।

জানা গিয়েছে, জঙ্গিরা বিভিন্ন অভিযানে বেরনোর আগে এ বাড়িতেই প্রশিক্ষণ নিতেন। মুফতি মাহমুদ জানান, হোসেনি দালানে শিয়া সম্প্রদায়ের তাজিয়া মিছিলে হামলাকারী জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন এই জঙ্গি নেতা তানভির। তিনি জেএমবির প্রশিক্ষক হিসেবে ২০০২ সাল থেকে কাজ করছেন। কিছু দিনের মধ্যে গাজিপুরে কোনও নাশকতার ছক কষছিল ধৃত চার জঙ্গি, এমন সন্দেহও করছে র‌্যাব।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন