INternational news

মধ্যরাতে গুলির যুদ্ধ, বাংলাদেশে ধৃত চার জেএমবি সদস্য

বাংলাদেশে বাগেরহাট জেলার সদরে দড়াটানা সেতুর পাশে খ্রিষ্টানপল্লি এলাকায় অভিযান চালিয়ে জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) চার সদস্যকে ধরে ফেলল পুলিশ। তাদের কাছ থেকে অস্ত্রশস্ত্র এবং বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঢাকা শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০১৬ ১৩:১৪
Share:

ধৃত ৪ জেএমবি সদস্য। ছবি: সংগ্রহ

বাংলাদেশে বাগেরহাট জেলার সদরে দড়াটানা সেতুর পাশে খ্রিষ্টানপল্লি এলাকায় অভিযান চালিয়ে জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) চার সদস্যকে ধরে ফেলল পুলিশ। তাদের কাছ থেকে অস্ত্রশস্ত্র এবং বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।

Advertisement

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পঙ্কজ রায় জানিয়েছেন, বুধবার গভীর রাতে খ্রিষ্টানপল্লি এলাকায় জেএমবি গোপন বৈঠক করছে বলে খবর পাওয়া যায়। সঙ্গেসঙ্গেই জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও বাগেরহাট মডেল থানার পুলিশ অভিযান চালায়। জঙ্গিরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। শেষ পর্যন্ত চার জনকে ধরে ফেলে পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকে দেশি পিস্তল, দুটি গুলি, ধারালো দুটি অস্ত্র, টেপ প্যাঁচানো বোমার মতো দুটি জিনিস, বোমা বানানোর সরঞ্জাম, মোবাইল ফোন ও টর্চ উদ্ধার করা হয়েছে।
ধৃতদের পরিচয়ও প্রকাশ করেছে পুলিশ। সাতক্ষীরা জেলা সদরের গড়েরকান্দা গ্রামের মহঃ মাকসুদুর রহমান ওরফে তোতা (২৪), ইটাগাছা গ্রামের সাইফুল ইসলাম (৩৬), কদমতলা বাজার এলাকার মোরশেদ আলম (২০) এবং পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের জহিরুল ইসলাম (২২)। পুলিশের দাবি, এই চারজনই নিষিদ্ধ জঙ্গি সঙ্গঠন জেএমবি-র সক্রিয় সদস্য।
পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, জেএমবির এই সদস্যরা আওয়ামি লিগ নেতা ও পুলিশ কর্মীদের উপর হামলা চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছিল। পরিকল্পনা অনুযায়ী বাগেরহাটে নাশকতা চালাতে বুধবার এরা সংঘবদ্ধ হয়। চার জনের বিরুদ্ধেই অস্ত্র আইন, বিস্ফোরক দ্রব্য আইন ও আইসিটি আইনে চারটি মামলা করেছে পুলিশ।
এর আগে গত ২৪ অক্টোবর বাগেরহাটেরই কচুয়া উপজেলার খলিসাখালি গ্রামে এক বাগান বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আরও চার জেএমবি সদস‌্যকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।

আরও পড়ুন: বিশ্ব জুড়ে বাজার পড়ল ট্রাম্প-আতঙ্কে

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন