খুনে অভিযুক্ত মহিলা পুনম। ছবি: সংগৃহীত।
হরিয়ানায় চার শিশুর হত্যাকাণ্ডে ‘তান্ত্রিক যোগ’ রয়েছে। এমনই দাবি করলেন তাদের অভিভাবকেরা। অভিযুক্ত পুনমকে নিয়ে রহস্য ক্রমশ বাড়ছে। যদিও তাঁর মা দাবি করেছেন, বিয়ের আগে সৌন্দর্য নিয়ে পুনমের কোনও মাথাব্যথা ছিল না। কিন্তু কী ভাবে তাঁর মাথায় সৌন্দর্যের ‘ভূত’ সওয়ার হল, এই প্রশ্নের মুখে পড়তেই পুনমের মা বলেন, ‘‘জানি না’’।
নিজের তিন বছরের সন্তান-সহ পরিবার এবং আত্মীয়ের চার শিশুকে খুনের অভিযোগ উঠেছে পুনমের বিরুদ্ধে। একই কৌশলে দু’বছরের মধ্যে চার শিশুকে খুন করে প্রত্যেকটি ঘটনাকে দুর্ঘটনাজনিত বলে চালিয়ে দিয়েছেন। আত্মীয়েরা দাবি করেছেন, যে চার শিশুকে খুন করা হয়েছে, তাদের প্রত্যেকের খুনের তিথি ছিল একাদশী। প্রত্যেকটি খুনে একাদশী যোগ রয়েছে বলে দাবি তাঁদের। কেন একাদশীর দিনটিকেই বেছে নিয়েছিলেন পুনম, সেই প্রশ্ন তুলে তাঁর সঙ্গে ‘তান্ত্রিক’ যোগের সন্দেহ প্রকাশ করেছেন আত্মীয়েরা। সত্যিই কি কোনও ‘তান্ত্রিক’ যোগ রয়েছে পুনমের, সেই দিকটাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীদের ধারণা, এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছে মানসিক বিকৃতি। নিজেকে সুন্দরী মনে করার করার এক তীব্র বাসনা। যে ধারণার বশবর্তী হয়ে তিন ভাইঝি এমনকি নিজের সন্তানকেও খুন করতে হাত কাঁপেনি পুনমের। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে প্রথম খুন করেন পুনম। সোনীপতে তাঁর ন’বছরের ভাইঝি ইশিকাকে জলে ডুবিয়ে হত্যা করেন বলে অভিযোগ। ওই বছরেই নিজের সন্তান শুভমকে ঠিক একই কায়দায় খুন করেন এবং দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু বলে চালিয়ে দেন। ২০২৫ সালের অগস্টে আরও এক ভাইঝিকে জলে ডুবিয়ে খুন করেন। সেই খুন ধামাচাপা দিতে ১ ডিসেম্বর বিধি নামে ছ’বছরের ভাইঝিকে বাড়িতে রাখা বাথটাবের জলে ডুবিয়ে হত্যা করেন। বিধির মৃত্যুতে তাঁর বাবা-মায়ের সন্দেহ হওয়ায় পুলিশে খবর দেন। আর সেই তদন্তে নেমে পরিবারের আরও তিন শিশুর খুনের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।