ছেলে সোয়াদের সঙ্গে আকতার জাহান। অ্যালবাম থেকে।
রাজশাহি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আকতার জাহানকে (জলি) কি কেউ আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছিলেন?
তেমনই অভিযোগ করে আকতারের ভাই কামরুল হাসান একটি মামলা দায়ের করেছেন ঢাকার মতিহার থানায়। কামরুলের অভিযোগ, আত্মহত্যা করার জন্য আকতার জাহানকে কেউ সরাসরি বা পরোক্ষ ভাবে প্ররোচিত করেছিলেন। সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মৃতদেহের সঙ্গে আকতারের নিজের হাতে লেখা একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে। সেই সুইসাইড নোটের হাতের লেখা যে আকতার জাহানের, সে ব্যাপারেও নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। ওই সুইসাইড নোট থেকেই ইঙ্গিত মিলছে, আকতারকে আত্মহত্যার ব্যাপারে কেউ বা কারা সরাসরি বা পরোক্ষ ভাবে প্ররোচনা দিয়েছিলেন। সেই প্ররোচনাকারীদের খুঁজে বের করে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ারও আর্জি জানিয়েছেন আকতারের ভাই।
শুক্রবার বিকেলে রাজশাহি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জুবেরি’ ভবনের ৩০৩ নম্বর ঘর থেকে আকতার জাহানের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁর ল্যাপটপের নিচে তাঁর নিজের হাতে লেখা সুইসাইড নোট পাওয়া যায়।
রাজশাহি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক তানভির আহমদের সঙ্গে আকতারের দীর্ঘ দাম্পত্যের পর ২০১২ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। তার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের জন্য বরাদ্দ ওই আবাসিক ভবনে (‘জুবেরি’) একাই থাকতেন আকতার। তাঁর ছেলে সোয়াদ ঢাকায় আকতারের পিত্রালয়ে থেকে পড়াশোনা করে।
সৌজন্যে: বাংলা ট্রিবিউন।
আরও পড়ুন- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষিকার রহস্যমৃত্যু, দরজা ভেঙে দেহ উদ্ধার