এই ম্যাচ যে কেউ জিততে পারত, মত দুই অধিনায়কের

ম্যাচ শেষে যখন স্বস্তি ভারতীয় শিবিরে তখন হতাশায় ডুবে গেলেন মাশরাফিরা। এমন লড়াই শেষ কবে হয়েছে? প্রশ্নটা ঘুরতে শুরু করল ম্যাচের শেষ বলটি হতেই। হার্দিক পাণ্ড্যকে সেষ ওভারে বল করতে এনে চমক দিয়েছিলেন ধোনি। কিন্তু সেই শেষ ওভারেই এল তিন উইকেট। ধোনির ভরসার দাম দিলেন নবাগত হার্দিক। ম্যাচের সেরা হলেন অশ্বিন। জিতে গ্রুপে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল ভারত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০১৬ ০০:২৪
Share:

ম্যাচ শেষে যখন স্বস্তি ভারতীয় শিবিরে তখন হতাশায় ডুবে গেলেন মাশরাফিরা। এমন লড়াই শেষ কবে হয়েছে? প্রশ্নটা ঘুরতে শুরু করল ম্যাচের শেষ বলটি হতেই। হার্দিক পাণ্ড্যকে সেষ ওভারে বল করতে এনে চমক দিয়েছিলেন ধোনি। কিন্তু সেই শেষ ওভারেই এল তিন উইকেট। ধোনির ভরসার দাম দিলেন নবাগত হার্দিক। ম্যাচের সেরা হলেন অশ্বিন। জিতে গ্রুপে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল ভারত।

Advertisement

ম্যাচ শেষে কে কী বললেন দেখে নেওয়া যাক এক ঝলকে,

মহেন্দ্র সিংহ ধোনি (ভারত অধিনায়ক): এমনটা সব সময় হয় না। কখনও মনে হয় বড় শট নিয়ে ম্যাচটা শেষ করে দেওয়া যাবে। আর যদি হাতে উইকেট থাকে তখন মনে হয় বাকিরা ম্যাচটা বের করে নেবে। আর যখন কেউ ভাল ব্যাট করছে তখন সে নিজের শটগুলো নেয়। মাহমুদুল্লাহর জন্য এটা শিক্ষা। এটাই ক্রিকেট। যদি ওই শটটা ওভার বাউন্ডারি হত তাহলে দারুণ শট হত। এটাই ক্রিকেট।

Advertisement

বুমরাহ খুব ভাল বল করেছে। ও বল করার সময় চাপে ছিল। এক তো তখন ফিল্ড রেস্ট্রিকশন ছিল। তার উপর ওর মিস ফিল্ডিং আর ক্যাচ ফেলারও চাপ ছিল। কিন্তু ওকে ওই সব ভুলে যেতে হবে। আমাদের বোলিংও খুব ভাল ছিল। যেখানে আমাদের পার্টটাইম বোলারদের ব্যবহার করতে হয়নি।

শেষ ওভারের আগে পাণ্ড্যকে এটাই বোঝানো হয়েছিল ইয়র্কার না দিতে। এবং লেন্থে বল করতে। ও কথা মতোই কাজ করেছে।

মাশরাফি মোর্তাজা (বাংলাদেশ অধিনায়ক): শেষ তিন বলেই সব বদলে গেল। তার আগে পর্যন্ত জয়ের দিকে আমরাই এগিয়ে ছিলাম। আমরা সিঙ্গলস নিতে পারতাম। কিন্তু কিছু করার নেই। আমাদের ভাগ্য খারাপ ছিল। শেষ তিন বলে তিন উইকেট হারাতে হয়েছে আমাদের। আমাদেশ শেষ তিন বলে দু’রান দরকার ছিল। আজ সত্যি আমাদের হতাশার দিন। আমরা সব মিলে ভাল খেলেছি। পাকিস্তান ম্যাচ ছাড়া। আজ আমি হতাশ।

রবিচন্দ্রন অশ্বিন (ম্যাচের সেরা): আমরা কখনওই খুব বেশি চিন্তায় ছিলাম না। বুমরাহ কিছু ভুল করলেও ওর বল দলের কাজে লেগেছে। আমি শুধু ওকে বলেছিলাম শেষে মানকর ট্রাই করতে। তবে আমরা ব্যাট হাতে খুব ভাল করতে পারিনি। তামিমের ক্যাচ দু’বার ফেলার পর মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু দলের জন্য আমরা একসঙ্গে ঝাপিয়েছিলাম। শেষ বলের আগে আলোচনায় বলেছিলাম বাউন্সার দিতে। হার্দিক দারুণ বল করেছে ওই অবস্থায়। এই ম্যাচ যে কেউ জিততে পারত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement