হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে শোলাকিয়ায় ইদের জমায়েতে হামলাকারী জঙ্গিকে কিশোরগঞ্জে নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ। পুলিশের দাবি, বৃহস্পতিবার রাতে শফিকুল ইসলাম ওরফে সাইফুল নামে জেএমবি (জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ)-র এই নেতাকে ছাড়াতে পুলিশ ও র্যাবের গাড়ির বহরে হামলা চালায় জঙ্গিরা। দু’পক্ষের গুলির লড়াইয়ে শফিকুল ও আবু মোকাতিল নামে এক যুবক নিহত ও র্যাবের তিন সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে জখম হয়েছেন।
জুলাইয়ের ৭ তারিখে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় উপমহাদেশের সব চেয়ে বড় ইদের জমায়েতে হামলার পরিকল্পনা ছিল জঙ্গিদের। কিন্তু তার আগে পুলিশের চেক পোস্টে আটকে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে থাকে তারা। পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে আবির রহমান নামে এক জঙ্গি নিহত হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ধরা পড়ে শফিকুল ও তামিম নামে দুই জঙ্গি। দুই পুলিশ এবং স্থানীয় এক মহিলাও শোলাকিয়ার হামলায় নিহত হয়েছিলেন।
পুলিশি হেফাজতে থাকা জঙ্গি শফিকুল এত দিন ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে কড়া পাহারায় শফিউলকে কিশোরগঞ্জ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। র্যাবের মুখপাত্র শরিফুল ইসলামের দাবি, রাত ১১টা নাগাদ নান্দাইলের ডাংরিবন্দ গ্রামের কাছে একটি নির্জন জায়গায় জঙ্গিরা সেই গাড়ির বহরে হামলা চালায়। শফিকুলকে ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে তারা যথেচ্ছ বোমা ও গুলি ছুড়তে শুরু করে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। তাতেই আবু মোকাতিল নামে এক যুবক মারা যায়। পুলিশের দাবি অনুযায়ী— গণ্ডগোলের মধ্যে গাড়ি থেকে নেমে পালানোর চেষ্টা করে শফিকুল। সে সময়েই গুলিবিদ্ধ হয় সে। গুলি লাগে র্যাবের তিন সদস্যের দেহেও। শফিকুল ও ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ও র্যাবের আরও বাহিনী ময়মনসিংহ থেকে নান্দাইল পৌঁছয়। এলাকায় তল্লাশি শুরু হয়। ঘটনাস্থল থেকে দু’টি মোটরসাইকেল, ৩টি পিস্তল, ৪টি চাপাতি, প্রচুর বোমা-বিস্ফোরক ও একটি বোমার ব্যাগ উদ্ধার করেছে র্যাব।