শেখ মুজিবুর রহমান।
স্বল্প উন্নয়নের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হল বাংলাদেশ। যে দিনটিতে রাষ্ট্রপুঞ্জের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি) যোগ্যতা অর্জনের এই শংসাপত্র রাষ্ট্রপুঞ্জে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেনের হাতে তুলে দিলেন, শনিবার সেই দিনটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের নায়ক, প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন। এ দিন গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় মুজিবের সমাধিতে ফুল দিয়ে তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উৎফুল্ল কণ্ঠে বলেন, ‘‘এই লক্ষ্য আমরা পূরণ করতে পেরেছি। বাংলাদেশকে আর পিছিয়ে রাখা যাবে না।’’ হাসিনা বলেন, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন, এই অর্জন তার প্রথম ধাপ।
সদস্য দেশগুলিকে বিভিন্ন সূচকের নিরিখে তিনটি তালিকায় ফেলে রাষ্ট্রপুঞ্জ— স্বল্পোন্নত, উন্নয়নশীল ও উন্নত। মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের সূচকের মধ্যে যে কোনও দু’টিতে নির্দিষ্ট মানে পৌছলে কোনও দেশকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উন্নীত করা হয়। বাংলাদেশ তিনটি সূচকেই প্রার্থিত মান পূরণ করে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উঠল। এই স্বীকৃতি অর্জনের জন্য ২২ তারিখে ঢাকায় মহা সমারোহে উৎসব পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে এ দিন।
আরও পড়ুন: তহবিল দুর্নীতি মামলায় জামিন খালেদার
তবে শংসাপত্র দেওয়া হলেও উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে পূর্ণ সনদ পেতে ২০২৪ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বাংলাদেশকে। কারণ এই অর্জন তত দিন ধরে রাখার পরীক্ষা দিতে হবে তাদের। লাওস ও মায়ানমারও প্রথম বার এই যোগ্যতা পেয়েছে। ভুটান, সাও তোমে ও সলোমন দ্বীপপুঞ্জ দ্বিতীয় বারের মতো যোগ্যতা অর্জন করায় তাদের এই তালিকায় অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব করেছে সিডিপি।