এ ভাবেই উৎসব পালিত হয়েছিল গত বছরে। এ বছরের ছবিটা অন্য।
আকাশজুড়ে জ্যোৎস্না। সেই জ্যোৎস্না মর্ত্যের কারও কাছে কোজাগরী- কারও কাছে প্রবারণা। বাংলাদেশে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে এবারের প্রবারণা রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়ে মানবতার শপথ শোনানোর উপলক্ষ। তাই প্রবারনার রাতের আকাশে উৎসবের ঐতিহ্য ‘আকাশ প্রদীপ’ (ফানুস) উড়ল না। ফানুসের খরচ ব্যয় হবে মায়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা শরনার্থীর সাহায্যে। সেই মানবিক রোশনাইতে মঙ্গল আলো বইলো প্রবারনার আকাশে!
মায়ানমারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ওপর যে সহিংসতা ঘটেছে তার প্রতিবাদে এবার ফানুস উড়িয়ে গৌতম বৌদ্ধের কেশধাতু বন্দনার রীতি পালন না করার সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছিল দেশের বৌদ্ধ কমিউনিটি। সে সিদ্ধান্ত মেনে ফানুস ওড়ানো হয়নি বলে জানিয়েছেন বৌদ্ধ ভিক্ষুকরা।
আরও পড়ুন:প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এমসিসি-র ক্রিকেট কমিটিতে সাকিব
বৃহস্পতিবার সকালে পূজা- কীর্তনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বৌদ্ধ ধর্মের আত্মসুদ্ধীর অনুষ্ঠান প্রবারণা উৎসব। প্রবারণার অন্যতম উদ্দেশ্য- হিংসা, বিদ্বেষ, লোভ, হানাহানি বর্জন করে সুখ, শান্তি, মানবতা আর সত্যকে বরণ করা। তাই বৌদ্ধ উপাসনালয়গুলোতে সৃষ্টির মঙ্গল কামনাই ছিল প্রার্থনার মূল বিষয়।
আরও পড়ুন:ধারা ভাঙতে আসছে ‘ঢাকা অ্যাটাক’
গত তিনমাস বর্ষাব্রত পালনের পর প্রবারণার মধ্য দিয়ে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা আত্মসর্মপন এবং আত্মনিবেদন করবেন বৌদ্ধ ধর্ম প্রচারে। একই সঙ্গে একমাস বিশ্বে মানবতা প্রতিষ্ঠায় শান্তি আর মৈত্রিয় বাণী প্রচারে আত্মনিয়োগ করবেন বৌদ্ধ ভিক্ষুকরা।
এবার প্রবারণার উৎসবের অন্যতম অংশ বুদ্ধের ‘কেশধাতুকে’ সম্মান জানাতে সন্ধ্যায় আকাশ প্রদীপ জ্বালানোর অংশটি থাকছে না। তাঁরা জানান, মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর হামলা ও নির্যাতনের কথা উপলব্ধি করে এবার সে অর্থ দেওয়া হবে ত্রাণ তহবিলে।