ছুটি কাটাতে এসে চিরছুটিতে তারিশি

আর পাঁচটা ছাপোষা সাধারণ ছেলেমেয়ের মতো তিনিও কি ভেবেছিলেন সব যুদ্ধ থেমে যাবে একদিন? রাইফেলের জং ধরে পড়ে থাকার স্বপ্ন কি দেখেছিলেন কোনওদিন? সন্ত্রাসের নাম নিশ্চয়ই শুনেছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৬ ২০:৫৬
Share:

ছবি: ফেসবুকের সৌজন্যে।

আর পাঁচটা ছাপোষা সাধারণ ছেলেমেয়ের মতো তিনিও কি ভেবেছিলেন সব যুদ্ধ থেমে যাবে একদিন? রাইফেলের জং ধরে পড়ে থাকার স্বপ্ন কি দেখেছিলেন কোনওদিন? সন্ত্রাসের নাম নিশ্চয়ই শুনেছিলেন। কিন্তু কখনও কি ভেবেছিলেন সেই সন্ত্রাসের বলি হয়ে যেতে হবে নিজেকেই? শুক্রবার ঢাকায় জঙ্গি হানায় অকালে ঝরে গেলেন তারিশি জৈন। গুলশনের হোলি আর্টিজান বেকারি রেস্তরাঁয় আরও ২০ জন নিষ্পাপ মানুষের সঙ্গে আজ নিথর হয়ে গিয়েছে সেই স্বপ্ন।

Advertisement

১০ ঘণ্টা লড়াইয়ের শেষে ঢাকার গুলশনের রেস্তোরাঁ থেকে ১৮ বছরের সেই তরতাজা ভারতীয় তরুণীর দেহ যখন বের করে আনা হল তত ক্ষণে সব শেষ। ছুটি কাটাতে ঢাকায় নিজের বাড়িতে যখন আসেন তারিশি, তখনও আঁচ করতে পারেননি কী ভয়ঙ্কর মৃত্যুফাঁদ অপেক্ষা করছে তাঁর জন্য।

আরও পড়ুন: মধ্য এশিয়ার অর্থই অনর্থ ঘটাচ্ছে বাংলাদেশে!

Advertisement

ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলের ছাত্রী ছিলেন তারিশি। ভারতের উত্তরপ্রদেশে আদি বাস হলেও দীর্ঘ দিন ঢাকার বাসিন্দা তারিশির পরিবার। বাবা সঞ্জীব জৈন ঢাকার বস্ত্র ব্যবসায়ী। গত ১৫-২০ বছর ধরে ঢাকাতেই পাকাপাকি ভাবে থাকতেন তাঁরা। ঢাকার আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল থেকে স্কুলের পাঠ শেষ করেছিলেন তারিশি। শুক্রবার রাতে হোলি আর্টিজেনে জঙ্গিদের হাতে পণবন্দি হয়েছিলেন তিনি। আর বাড়ি ফেরা হল না তাঁর। বাংলাদেশ সেনা ১৩ জন পণবন্দিকে উদ্ধারে সক্ষম হলেও সেই তালিকায় ছিলেন না তারিশি।

শনিবার বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ তারিশির পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে ট্যুইট করেন। তিনি বলেন, ‘‘এই শোকের মুহূর্তে গোটা দেশ তাঁদের পাশে রয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন