বিজয় দিবসে ইন্দিরা স্মরণ

ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রীকে আরও দৃঢ় করতে এ বার রবিশঙ্কর থেকে অন্নদাশঙ্কর রায় এবং সুচিত্রা সেনের নামেও বাংলাদেশে রাস্তার নামকরণের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। ঢাকার সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা গুলশন অ্যাভিনিউ-এর নাম ইন্দিরা গাঁধীর নামে করার প্রস্তাব আগেই দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৩:৪৫
Share:

বিজয় দিবসে সেনাদের ছবির প্রদর্শনী দেখছেন বাংলাদেশ থেকে আসা মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিজনেরা। শুক্রবার ফোর্ট উইলিয়ামে। ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য।

ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রীকে আরও দৃঢ় করতে এ বার রবিশঙ্কর থেকে অন্নদাশঙ্কর রায় এবং সুচিত্রা সেনের নামেও বাংলাদেশে রাস্তার নামকরণের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। ঢাকার সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা গুলশন অ্যাভিনিউ-এর নাম ইন্দিরা গাঁধীর নামে করার প্রস্তাব আগেই দেওয়া হয়েছে। এ দিন কলকাতায় বিধান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রখ্যাত মানবাধিকার কর্মী শাহরিয়ার কবির এই কথা জানান।

Advertisement

কংগ্রেস নেতা ও ট্রাস্টের চেয়ারম্যান সোমেন মিত্র শুক্রবার বিজয় দিবস ও ইন্দিরার জন্মশতবর্ষ স্মরণে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। সেখানে শাহরিয়ার কবির বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধীর ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। তাঁর আক্ষেপ, ‘‘স্বাধীনতার পর থেকে পাকিস্তানপন্থীরাই বেশি সময় দেশের শাসন ক্ষমতায় থেকে ইতিহাসকে বিকৃত করার চেষ্টা করেছে।’’ শাহরিয়ারের অভিযোগ, ‘‘ক্ষমতায় এসে মৌলবাদী শক্তি প্রকৃত ইতিহাস মুছে ফেলে দেখাতে চেয়েছে পাকিস্তান নয়, ভারতই হল বাংলাদেশের শত্রু।’’ তিনি বলেন, এই অপপ্রচার ও ভারত-বিরোধিতা এখনও চলছে। বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান বলেন, ‘‘মুক্তিযুদ্ধে ইন্দিরার ভূমিকা গোটা বিশ্ব জানে। সে দিন শুধু মন্ত্রিসভার সদস্যরা নয়, অটলবিহারী বাজপেয়ীর মতো কট্টর বিরোধী নেতাও ইন্দিরার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।’’

কলকাতায় বাংলাদেশের উপদূতাবাসও এ দিন সকালে পতাকা উত্তোলন করে বিজয় দিবস পালন করে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। বৃহস্পতিবার বিজয় দিবস উপলক্ষে নেতাজি ইন্ডোরে বাংলাদেশ উৎসবের সূচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মঞ্চে এ দিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনাসভা হয়। রয়েছে জামদানি ও বাংলাদেশি খাবারের স্টলও। উৎসব চলবে সোমবার পর্যন্ত।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন