বাংলাদেশে গ্রেফতার খাগড়াগড় কাণ্ডের অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত নাসিরুল্লা

জেলা পুলিশ সুপার মোজাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে এক অভিযানে এদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সোহেলের পাশাপাশি চাঁপাইনবাবগঞ্জের নব্য জেএমবির অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক জামাল ওরফে মোস্তাফা, নব্য জেএমবির আইটি বিশেষজ্ঞ হাফিজুর রহমান ওরফে হাসান ও নব্য জেএমবির সামরিক শাখার প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সদস্য জুয়েল ওরফে ইসমাইলকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৭ ১৭:২৪
Share:

নাসিরুল্লা ওরফে সোহেল মাহফুজ। —ফাইল চিত্র।

খাগড়াগড় বিস্ফোরণের ন’মাস পর বাংলাদেশ থেকে গ্রেফতার হল মামলার অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)-র চাঁই হাতকাটা নাসিরুল্লা ওরফে সোহেল মাহফুজ। একই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে জেএমবির আরও তিন জঙ্গিকে। শনিবার ভোরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থেকে পুলিশ এদের গ্রেফতার করেছে। এদের প্রত্যেকেই ঢাকার গুলশনের হলি আর্টিজান বেকারি হামলাতেও অন্যতম অভিযুক্ত। বাংলাদেশ পুলিশ শনিবার গ্রেফতারির কথা বললেও ভারতীয় গোয়েন্দাদের একাংশের অবশ্য দাবি, অন্তত এক সপ্তাহ আগেই সোহেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র একটি সূত্রের দাবি, বৃহস্পতিবার রাতে নাসিরুল্লা বাংলাদেশ পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে বলে বেসরকারি ভাবে তারা খবর পায়।

Advertisement

আরও পড়ুন: মুখে প্রশস্তি, হাত মেলালেন মোদী-চিনফিং

পুলিশ সূত্রে খবর, জেলা পুলিশ সুপার মোজাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে এক অভিযানে এদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সোহেলের পাশাপাশি চাঁপাইনবাবগঞ্জের নব্য জেএমবির অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক জামাল ওরফে মোস্তাফা, নব্য জেএমবির আইটি বিশেষজ্ঞ হাফিজুর রহমান ওরফে হাসান ও নব্য জেএমবির সামরিক শাখার প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সদস্য জুয়েল ওরফে ইসমাইলকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। মোজাহিদুল জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শিবগঞ্জ উপজেলার পুস্কুনিপাড়া এলাকার ফজলুর রহমানের আম বাগানে গোপন বৈঠক করার সময় তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।

Advertisement

দামোদরের চরে নিষ্ক্রিয় করা হচ্ছে বোমা। ফাইল চিত্র।

চল্লিশোর্ধ্ব হাতকাটা নাসিরুল্লার হদিস দিতে পারলে ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে এনআইএ। তদন্তকারীরা জানান, পশ্চিমবঙ্গে নাসিরুল্লার নেতৃত্বেই জেএমবি-র সংগঠনের সূচনা হয়। পরে বাংলাদেশে জেএমবি-র যে অংশটি আইএস-এর দিকে ঝোঁকে, নাসিরুল্লা সেই ‘নব্য জেএমবি’-র অন্যতম পাণ্ডা হয়েছিল। লন্ডন, প্যারিস ও ব্রাসেলসের সাম্প্রতিক নাশকতায় যে বিস্ফোরক ব্যবহৃত হয়েছে, তাতেও এই সোহেল মাহফুজের কারিগরি দেখতে পেয়েছেন আন্তর্জাতিক গোয়েন্দারা। গত বছরের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছিল। খুন করা হয়েছিল ২০ জনকে। তাঁদের মধ্যে ন’জন ইটালি, সাত জন জাপানি, তিন জন বাংলাদেশি এবং এক জন ভারতীয়। জঙ্গি হামলায় দু’জন পুলিশ কর্মীও প্রাণ হারান। পরদিন সকালে কমান্ডো অভিযানে পাঁচ জঙ্গি-সহ ছয় জন সেখানে নিহত হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন