সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ বনদস্যু ‘মাস্টার বাহিনী’র প্রধান মোস্তফা শেখ ওরফে কাদের মাস্টার (৪৫) ও তার আরও নয় সহযোগী বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে অস্ত্র সমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আর্জি জানিয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে মংলার বন্দরে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ডাকাতদলটি ৫২টি দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৫ হাজার রাউন্ডের বেশি গুলি জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করে। দস্যুদের জমা দেওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ১৮টি একনলা বন্দুক, আটটি দোনলা বন্দুক, ছ’টি পয়েন্ট ২২ বোরের পিস্তল, একটি থ্রি নট থ্রি রাইফেল, তিনটি ওয়ান শুটারগান, পাঁচটি রাইফেল, দু’টি সিঙ্গেল রাইফেল, পাঁচটি শটগান, দু’টি এয়ার গান, দু’টি শাটারগান।
সুন্দরবনে জেলেদের কাছে ত্রাস হিসেবে পরিচিত ছিল এই মাস্টার বাহিনী। নৌকা ও জেলেদের অপহরণ করে বড় অংকের মুক্তিপণ দাবি করত তারা। এই বাহিনী প্রধান মোস্তফা বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার কাটাখালি এলাকার বাসিন্দা। তার বাবা আবদুল লতিফ একজন মাছ ব্যবসায়ী। মোস্তফার ছোট ভাই কামরুল দুই বছর আগে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হোন।
আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র্যাব) অতিরিক্ত মহাপরিচালক (গোয়েন্দা) কর্নেল আনোয়ার হোসেন, খুলনা রেঞ্জের পুলিশের উপমহাপরিদর্শক মনিরুজ্জামান, র্যাব-৮ এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল ফরিদুল আলম, র্যাব-৬ এর অধিনায়ক রফিকুল ইসলাম, বাগেরহাট জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গির আলম, পুলিশ সুপার নিজামুল হক উপস্থিত ছিলেন।
আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল বলেন, বন ডাকাতেরা সমাজের ক্ষতিকর মানুষ হিসাবে রূপ নিয়েছে। এই উপলব্ধি থেকে তারা আজ আত্মসমর্পন করল। তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে যে কাজ শুরু করেছে সে কাজের জন্য আমরা তাদের সব ধরনের আইনি সহযোগিতা দিয়ে যাবো।