পাকিস্তানে ট্রেনিং নিতে যাওয়ার আগেই জালে দুই বাংলাদেশি দম্পতি

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার রাতে দুই দম্পতিকে আটক করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। দুই দম্পতিই সম্প্রতি বাংলাদেশে একের পর এক নাশকতা চালানো নব্য জেএমবি-র সঙ্গে সক্রিয় ভাবে জড়িত বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৫:৩৭
Share:

‘জেহাদি’ হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন এই দম্পতি

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার রাতে দুই দম্পতিকে আটক করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। দুই দম্পতিই সম্প্রতি বাংলাদেশে একের পর এক নাশকতা চালানো নব্য জেএমবি-র সঙ্গে সক্রিয় ভাবে জড়িত বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান। মুফতি আরও জানান, এই চার জনই পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদী শিক্ষা শিবিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ কথা স্বীকারও করেছে ধৃতেরা।

Advertisement

নব্য জেএমবির বেশ কয়েকজন সদস্য নতুন করে ‘জেহাদি’ হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে- এমনই খবর এসেছিল গোয়েন্দাদের মাধ্যমে। নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ ঢাকার ফার্মগেটের আনন্দ সিনেমা হলের উল্টো দিকের এক রেস্তোরাঁয় অভিযান চালায়। সেখান থেকে মহঃ আমিনুল ইসলাম ওরফে আমিনুল (৩৪), মারজিয়া আক্তর সুমি (১৯) এবং মহঃ শরিফুল ইসলাম ওরফে সুলতান মাহমুদ ওরফে মাহমুদকে (১৮) আটক করা হয়। তাদের থেকে তথ্য পেয়ে রাত ৩টে নাগাদ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় অভিযান চালিয়ে ধরা হয় নাহিদা সুলতানাকে (৩০)। তাদের কাছ থেকে প্রচুর সংখ্যায় ‘জেহাদি’ বই, লিফলেট, সিডি পাওয়া গেছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাদের মোবাইল ফোনও।

ধৃত দম্পতিদের মধ্যে বাঁ দিক থেকে নাহিদা, সুমি, শরিফুল, আমিনুল

Advertisement

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুমি জানিয়েছে, ফেসবুকের মাধ্যমে সে জেএমবির সঙ্গে যুক্ত হয়। এর পর জেএমবি-র থ্রিমা ও টেলিগ্রাম গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত হয়। এই গ্রুপের কাজ হল বাছাই করা সদস্যদের বাংলাদেশের ভেতরে বিভিন্ন অভিযানে দায়িত্ব দেওয়া এবং অভিযান সফল হলে বিদেশে নিরাপদ স্থানে পাঠানোর ব্যবস্থা করা। এই গ্রুপ থেকেই আফিফ, কাইফ, জাইশান ও মফিজ নামে আরও অনেকের সঙ্গে সুমির যোগাযোগ হয়। এরপর বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় সে। পরে সংগঠনের সিদ্ধান্তে মাহমুদের সঙ্গে তার বিয়ে হয় এবং তারা দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করছিল।

আরও খবর- যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের বিষয়ে নতুন আইন আনছে সরকার

মাহমুদ জানিয়েছে, সে জেএমবির সক্রিয় সদস্য। সে হিজরতের সদস্য সংগ্রহ করত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি এড়াতে তারা দেশ ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

উদ্ধার হওয়া 'জেহাদি' বই

জিজ্ঞাসাবাদে আমিনুল জানিয়েছে, সে ও নহিদা জেএমবির সক্রিয় সদস্য। সে সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের নির্দেশে অপারেশনাল কমর্কাণ্ডের লোক সংগ্রহ করত। দুই সন্তানের বাবা আমিনুল সংগঠনের সিদ্ধান্তে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে নাহিদাকে বিয়ে করে এবং তারাও দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করছিল।

ধৃত শরিফুল, আমিনুল

নাহিদা জানিয়েছে, সে ফেসবুকের মাধ্যমে জঙ্গি কার্যক্রমে যুক্ত হয়। পরবর্তীতে দাওয়াতুল ইসলাম অ্যাপ ব্যবহার করত। জঙ্গি দলে যুক্ত হওয়ার পর, সাংগঠনিক সিদ্ধান্তেই সে কত ২২ মে আমিনুলকে বিয়ে করে।

(সৌজন্যে বাংলা ট্রিবিউন)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement