বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। ছবি: পিটিআই।
মঙ্গলবার হাইকোর্টের রায়ের পরে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আশা কার্যত শেষ হয়ে গেল। বিএনপির আইনজীবীরা যদিও বলছেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে আপিল করবেন। তবে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম রায় বেরোনোর পরে সাংবাদিক বৈঠকে জানান, দুর্নীতির দুই মামলায় ১০ ও ৭ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেত্রীর প্রার্থী হওয়া হচ্ছে না।
জেলে বন্দি খালেদা জিয়ার নাম ফেনি-১, বগুড়া-৬ এবং ৭ আসনে দলের প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করেছিল বিরোধী দল বিএনপি। দলীয় সূত্রের খবর, রায়ের পরে দলের নেতৃত্ব বিকল্প প্রার্থীর নাম বিবেচনা করছেন। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন কাল। এ দিন গোপালগঞ্জ-৩ এবং রংপুর-৬ আসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তরফে মনোনয়ন জমা দেওয়া হয়েছে।
বিভিন্ন মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির পাঁচ নেতা নির্বাচনে দাঁড়ানোর অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন। হাইকোর্ট মঙ্গলবার জানায়, দু’বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত কেউ প্রার্থী হতে পারবে না। এমনকি, সাজাপ্রাপ্ত যদি তা খারিজের জন্য উচ্চ আদালতে আবেদনও করেন, তা হলেও প্রার্থী হতে পারবেন না। নির্বাচন ঘোষণার পরেই তাঁর দু’টি কারাদণ্ড রদ চেয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করেন খালেদা। বিএনপি নেতৃত্বের আশা ছিল, এর ফলে তাঁদের নেত্রী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। তবে এ দিন রায়ের পরে সে সম্ভাবনা রইল না বলে মনে করছে বিএনপি।
পুলিশের দাবি, জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)-এর প্রতিষ্ঠাতা বাংলা ভাই ফাঁসি হওয়ার আগে পুলিশকে দেওয়া এজাহারে নাশকতায় ‘সহযোগী’ হিসাবে তিনজন বিএনপি নেতার নাম করেছিল। তাঁরা বিএনপির প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন। জয়পুরহাট-১ আসনে তারা প্রার্থী করেছে দণ্ডপ্রাপ্ত রাজাকার নেতা আব্দুল আলিমের ছেলে ফয়সালকে।
(এই খবরটি প্রথম প্রকাশের সময় ভুলবশত তিন বিএনপি নেতাকে ‘বিজেপি’ নেতা হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছিল। এই অনিচ্ছাকৃত ত্রুটির জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।)