কেআইআইটি, ভুবনেশ্বর, যা শীঘ্রই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি পেতে চলেছে, কেন্দ্রীয় সরকারের অটল রাঙ্কিং অফ ইন্সস্টিটিউশন অন ইনোভোশন অ্যাচিভমেন্টস (এআরআইআইএ) ২০২০ তালিকায় আর্থিক ভাবে স্বনির্ভর প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রথম স্থান পেয়েছে।
মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক কর্তৃক প্রস্তুত এই তালিকায়, এসআরএম ইন্সস্টিটিউট, চেন্নাই এবং ভেলোর ইন্সস্টিটিউট অব টেকনোলজি, ভেলোর যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান পেয়েছে।
এআরআইআইএ, এমন একটি উদ্যোগ যা কাঠামোবদ্ধ ও নিয়মানুগ ভাবে দেশের প্রধান প্রধান উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে, তাদের ছাত্র ও শিক্ষকদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও স্ব-নির্ভর বাণিজ্যিক উদ্যোগের মাপকাঠিতে বিচার করে।
এই বিচারের ক্ষেত্রে গুণগত মানই প্রধান বিচার্য, সংখ্যাগত প্রাচুর্য নয়। এই তালিকা প্রস্তুত করা হয় সাতটি মাপকাঠির ভিত্তিতে--
বাজেট এবং খরচের খতিয়ান, যা প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক সহায়তা জোগায় এবং লাভ করতে সাহায্য করে
< >উদ্ভাবনী ক্ষমতা বাড়াবার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধির কর্মশালার আয়োজন করাক্রমাগত নতুন নতুন উদ্ভাবন এবং প্রচার ছাড়াও, স্বনির্ভর বাণিজ্যিক উদ্যোগে সহায়তা করাবৌদ্ধিক সম্পত্তি উৎপাদন (ইন্টালেকচুয়াল প্রপার্টি জেনারেশন)টেকনোলজি আদানপ্রদান ও বাণিজ্যীকরণউদ্ভাবনে সহায়তা এবং স্টার্ট-আপ তৈরির উদ্যোগে পরিকাঠামো ও ফেসিলিটিস দিয়ে সহায়তা করানতুন ভাবনার পড়াশোনার পদ্ধতি ও পাঠ্যক্রম তৈরি করা এবং প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে অভিনবত্ব প্রদর্শন করা
উচ্চশিক্ষা মন্ত্রকের আশা, এআরআইআইএ মেধা-তালিকা “ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলিকে নিজেদের নতুন করে সাজিয়ে নেওয়ার সুযোগ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের মানসিকতা পরিবর্তন করতে সাহায্য করবে। কেবল তাই নয় উচ্চমানের গবেষণা, নতুন উদ্ভাবন এবং অন্ত্রপ্রেনরশিপ-এ উৎসাহিত করবে।”
২০১৯ সালের এআরআইআইএ তালিকায় কেআইআইটি দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছিল। এ বছর এই প্রতিষ্ঠান তাদের নতুন উদ্ভাবন ও অন্ত্রপ্রেনরশিপ সেন্টার, অ্যাডভানসড ল্যাবরেটরি, সেন্টার অব এক্সেলেন্স, ইন্ডাস্ট্রি ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে যোগাযোগের উপর বিশেষ ভাবে নজর দেওয়ার জন্য মেধাতালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে।
এই প্রতিষ্ঠান পড়ুয়াদের জন্য উপযুক্ত ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছে বলে সুপরিচিত। এ ছাড়া এই প্রতিষ্ঠান গবেষণা, অগ্রগতি ও নতুন উদ্ভাবনী কার্যক্রমে পড়ুয়াদর জড়িত করার দিকে বিশেষ নজর দেয়।
কেআইআইটি-ডিউ প্রতিষ্ঠানের(https://kiit.ac.in/) প্রতিষ্ঠাতা ও লোকসভা সাংসদ অধ্যাপক অচ্যুত সামন্ত জানালেন, “আমি কেআইআইটিকে তাদের নতুন কৃতিত্বের জন্য অভিনন্দন জানাই। আমরা গত বছর মেধা-তালিকার দ্বিতীয় স্থান থেকে এ বছর প্রথম স্থানে উঠে এসেছি। গবেষণা ও নতুন উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে ক্রমবৃদ্ধিই এই উন্নতির চাবিকাঠি। আমাদের এই প্রয়াসকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য, আমি মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্কজীকে, ধন্যবাদ জানাই।”
এ বছর, কেন্দ্রীয় উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক ও রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী সঞ্জয় শামরাও ধরতে’র উপস্থিতিতে এই মেধা-তালিকা প্রকাশ করেন উপরাষ্ট্রপতি এম. ভেঙ্কাইয়া নাইডু। গত মাসে, নতুন দিল্লিতে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এআইসিটিই-র চেয়ারম্যান অনিল ডি সহস্রবুদ্ধে এবং উচ্চশিক্ষা সচিব অমিত খারে।