বর্ধমান জ়োন থেকে ‘আল্ট্রাটেক যশস্বী প্রধান’ সম্মানে সম্মানিত ২০ জন গ্রাম প্রধান
‘আল্ট্রাটেক’ বিশ্বাস করে যে, গ্রাম নির্মাণের সঙ্গেই হতে পারে দেশের অগ্রগতি। গ্রামের সেই সর্বাঙ্গীন ও পরিকাঠামোগত বিকাশকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন আমাদের গ্রাম প্রধানেরা। দেশের এক নম্বর সিমেন্ট আল্ট্রাটেক সমগ্র দেশ জুড়ে এই বিকাশ ও নির্মাণকার্যে সহযোগিতা করে চলেছে। নিজেদের এই অভিজ্ঞতা, গুণমান এবং বিশ্বস্ততাকে পাথেয় করে পশ্চিমবঙ্গেও সকল গ্রাম প্রধানদের সার্বিক উন্নয়নের প্রচেষ্টাকে সহায়তা করতে ‘আল্ট্রাটেক’ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
শহরে শিল্প, বাণিজ্য এবং বিভিন্ন অর্থনৈতিক পরিকাঠামোর উন্নয়নের পাশাপাশি গ্রামীণ উন্নয়নও খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর গ্রামীণ উন্নয়নের মূল ভিত হলেন গ্রাম প্রধানেরা। এককথায় বলা যায়, গ্রাম প্রধানের সক্রিয় ভূমিকা গ্রামীণ উন্নয়নের প্রধান চালিকা শক্তি। পঞ্চায়েত প্রধানের পরিসর ছোট হলেও জনজীবনে গুরুত্ব কিন্তু অপরিসীম। গ্রামের মানুষের ছোটখাটো সমস্যা থেকে উন্নয়নের প্রকল্প অনুযায়ী কাজ, সব কিছুতেই পঞ্চায়েত প্রধানের ভূমিকা রয়েছে। তাই আল্ট্রাটেক বিশ্বাস করে - ‘গ্রাম গড়লে দেশ এগোবে’। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানরাই দেশের ভবিষ্যৎ। তাই তাঁদের উদ্দেশ্যে দেশের নম্বর ১ সিমেন্ট আল্ট্রাটেক নিয়ে এসেছে এক অভিনব উদ্যোগ – ‘আল্ট্রাটেক যশস্বী প্রধান’ সম্মান।
গ্রামীণ পরিকাঠামোকে উন্নত করে, সাধারণ মানুষদের জীবন বদলে দিতে গ্রাম প্রধানরাই নিরন্তর কাজ করে চলেছেন। তাঁদের আত্মবিশ্বাস ও দূরদর্শিতার জোরেই এই গ্রামীণ উন্নয়নের সরাসরি সুফল পাচ্ছেন বাংলার সাধারণ মানুষ। তাঁদের জীবন যেমন অনেক সহজ হয়েছে তেমনই জীবনযাত্রার মান হয়েছে অনেক উন্নত। উন্নয়নের এই কারিগরদের কুর্নিশ জানাতে, সম্প্রতি দেশের নম্বর ১ সিমেন্ট আল্ট্রাটেক, বর্ধমানের আরজে (RJ) হোটেলে আয়োজন করেছিল ‘আল্ট্রাটেক যশস্বী প্রধান’ সম্মান।
প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় সে দিনের অনুষ্ঠান। এরপর উত্তরীয় ও স্মারক দিয়ে অতিথিদের বরণ করে নেওয়া হয়। এই অভিনব অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন বিভাগের প্রাক্তন ডিস্ট্রিক্ট কোয়াডিনেটর, আইএসজিপিপি, রফিকুল ইসলাম, ‘আল্ট্রাটেক’-এর পক্ষ থেকে ছিলেন দক্ষিণবঙ্গের আল্ট্রাটেক সিমেন্টের সেলস বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট, অবিনাশ মিশ্র।
বিচারকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন আইএএস অফিসার, স্বরাষ্ট্র বিভাগের প্রাক্তন যুগ্ম সচিব এবং বিশেষ সচিব, স্বরাষ্ট্র ও পাহাড় বিষয়ক বিভাগের প্রাক্তন অতিরিক্ত সচিব এবং বিশেষ সিনিয়র সচিব নির্মাল্য ঘোষাল, দুর্গাপুর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর প্রণব রায়, বর্ধমান এবং বীরভূমের এগরা কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন এনজিয়োর প্রতিষ্ঠাতা কমলাকান্ত জানা এবং জুড়ি সদস্যদের মধ্যে ছিলেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি দুর্গাপুরের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের টেকনিক্যাল সহযোগী (এসজি ২) মৃগাঙ্ক শেখর মুখোপাধ্যায়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে মাননীয় প্রধান অতিথি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সারা বাংলা জুড়ে ৩৩৩২টি পঞ্চায়েত আছে। পঞ্চায়েতের হাত ধরেই আজ বাংলার উন্নয়নে জোয়ার এসেছে। স্কুল, আইসিডিএস সেন্টারে স্যানিটারি ব্যবস্থা হয়েছে, পাশাপাশি গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থাও আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে। গ্রামে ‘অল ওয়েদার রোড’ নির্মাণে দেশের নম্বর ১ সিমেন্ট আল্ট্রাটেক যে ভাবে এগিয়ে এসেছে তার প্রশংসা করতেই হয়। ২০২৪ সালের মধ্যে অনেক গ্রামকে আদর্শ গ্রামে রূপান্তরিত করা হয়েছে।”
গ্রাম প্রধানদের নিরলস প্রচেষ্টায় আজ শুধু মাত্র গ্রামগুলিই যে উন্নতির পথে এগিয়ে চলেছে তা নয়, বরং এই উন্নয়নই ভিত মজবুত করছে দেশের অগ্রগতির। তাঁদের সম্মান জানাতেই ‘আল্ট্রাটেক’-এর এই অভিনব উদ্যোগ, ‘আল্ট্রাটেক যশস্বী প্রধান’। প্রায় এক মাস ব্যাপী চলা এই কর্মযজ্ঞে বাংলার পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং বীরভূম জেলা নিয়ে তৈরি হয়েছিল বর্ধমান জ়োন। ৭০০টিরও বেশি আবেদনপত্রর মধ্যে থেকে কাজের নমুনার ছবি ও ভিডিয়ো দেখে বিচারকরা ২০জন পঞ্চায়েত প্রধানদের হাতে তুলে দেন ‘আল্ট্রাটেক যশস্বী প্রধান’ সম্মান।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলেই এই অনন্য উদ্যোগটির অত্যন্ত প্রশংসা করেছেন। প্রত্যেক বিজয়ী পঞ্চায়েত প্রধানদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে উত্তরীয় এবং সার্টিফিকেট। নিজেদের কথা বলতে উঠে বিজয়ীদের প্রত্যেকের গলায় ছিল প্রত্যয়ের সুর এবং নিজেদের গ্রামকে আরও ভালভাবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার। এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রায় সবাই উদ্যোক্তা ‘আল্ট্রাটেক সিমেন্ট’ এবং মিডিয়া পার্টনার আনন্দবাজার পত্রিকার এই অভিনব উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।
এটি একটি স্পনসর্ড প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনটি ‘আল্ট্রাটেক সিমেন্ট’-এর সঙ্গে এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।