Sanchayer Sahajpath

সঞ্চয় করুন, সঙ্গে বুঝে-শুনে বিনিয়োগ, ‘সঞ্চয়ের সহজপাঠ’-এ এই শিক্ষাই দিল নামী মিউচুয়াল ফান্ড সংস্থা

শিলিগুড়িতে কানাড়া রোবেকো মিউচুয়াল ফান্ড উত্তরবঙ্গের মানুষদের শেখালো বিনিয়োগের অ-আ-ক-খ।

এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো

শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৮:০৩
Share:

‘কানাড়া রোবেকো মিউচুয়াল ফান্ড’ নিয়েছে এক অভিনব উদ্যোগ, ‘সঞ্চয়ের সহজপাঠ’

রোজগার তো করে সবাই, সঞ্চয় বা টাকা জমাতেও পারে হয়তো কেউ কেউ। কিন্তু বিভিন্ন খরচ এড়িয়ে টাকাকে বিনিয়োগ করে সঞ্চয় করতে পারে ক’জন? একটু বোঝানো যাক।

মাসের প্রথমে পাওয়া বেতন কিংবা রোজগারের টাকা প্রয়োজনীয় নানান খরচ করার পর যেটুকু পড়ে থাকে তা জমানোর জন্য অনেকেই গতানুগতিক সঞ্চয়ের পথে হাঁটে। যেমন ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজ়িট, রেকারিং ডিপোজ়িট, পিপিএফ কিংবা নিদেনপক্ষে পোস্ট-অফিসের নানা সেভিংস স্কিম। কিন্তু দিন-দিন জিনিসের দাম, মুদ্রাস্ফীতির পারদ এমন লাফিয়ে বাড়ছে তাকে হারানো তো দূরে থাক শুধু জমানো টাকায় খরচ সামলে ওঠাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠে। তা হলে উপায়? সাধের বাড়ি কিংবা স্বপ্নের গাড়ি কেনা কি তাহলে অধরাই থেকে যাবে? তা কেন? মিউচুয়াল ফান্ড আছে তো! আজকের এই জেট গতির যুগে গতানুগতিক সঞ্চয়ের পদ্ধতি অচল। কথায় বলে, ‘মানি বেগেট মানি’। টাকাকে ফেলে না রেখে তাকে সঠিক পদ্ধতিতে খাটাতে হবে। তার একটি সহজ উপায় হল মিউচুয়াল ফান্ড। অ্যাক্টিভ বা প্যাসিভ মিউচুয়াল ফান্ডে কী ভাবে, কতদিনের জন্য কী ধরনের স্কিমে ইনভেস্ট করলে আপনি টাকার মুখ দেখবেন, এ বিষয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়িয়ে তুলতে ‘কানাড়া রোবেকো মিউচুয়াল ফান্ড’ নিয়েছে এক অভিনব উদ্যোগ, ‘সঞ্চয়ের সহজপাঠ’, সহযোগিতায় আনন্দবাজার পত্রিকা।

বর্ধমান, দুর্গাপুর, আসানসোল, শিলিগুড়ি এবং কলকাতায় এই অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করা হয়েছে। সম্প্রতি শিলিগুড়ির ‘সূর্য গ্র্যান্ড’-এ ‘কানাড়া রোবেকো মিউচুয়াল ফান্ড’ আয়োজন করেছিল ‘সঞ্চয়ের সহজপাঠ’। এই অনুষ্ঠান ঘিরে বিনিয়োগকারীদের উৎসাহ ছিল দেখার মতো। অনুষ্ঠানে মূল বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন ‘কানাড়া রোবেকো মিউচুয়াল ফান্ড’-এর বিজ়নেস হেড, সেলস(ইস্ট), সঞ্জয় চৌরাসিয়া। তিনি জানান, “আর্থিক ব্যবস্থার দ্রুত উন্নতির নিরিখে বিশ্বের মধ্যে ভারতের স্থান অন্যতম। লকডাউনের পরে ঘুরে দাঁড়িয়ে অর্থ বাজারে-এ আবার অর্থলগ্নীর আদর্শ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করলে সম্ভাব্য রিটার্নও কিন্তু ব্যাঙ্ক বা অন্যান্য সরকারী স্কিম-এর থেকে বেশি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আমি আশাবাদী, যে ভারতে অর্থলগ্নীর পরিমাণ ও ইকোনমিক্যাল গ্রোথ বর্তমানে যা আছে আগামী দিনে তার থেকে আরও বেশি বাড়বে। যেভাবে দেশের সাধারণ মানুষ বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছেন, তাতে অর্থনীতিবিদ ও আর্থিক বিশেষজ্ঞরাও মনে করছেন বিনিয়োগের দুনিয়ায় ভারত তার নিজস্ব লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যাবেই।”

সঞ্জয় চৌরাসিয়া শুধু পরিসংখ্যান দিয়েই অর্থ বাজার এবং তার বৃদ্ধি বোঝাননি, বরং অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিনিয়োগে আগ্রহী মানুষদের খুব সহজে ছোট ছোট উদাহরণ দিয়ে মিউচুয়াল ফান্ড কী? কত ধরণের ফান্ড আছে? লার্জ ক্যাপ, মিড ক্যাপ, স্মল ক্যাপ, ফ্লেক্সিক্যাপ, মাল্টিক্যাপের সুবিধা- অসুবিধা কোথায়? কতদিনের জন্য কী ভাবে বিনিয়োগ করলে সাধারণ মানুষ তাদের চাহিদা পূরণ করতে পারে? তা সহজেই বুঝিয়ে দেন। তার মুখ থেকে ‘পাওয়ার অফ কম্পাউন্ডিং’ ও ‘রুপি কস্ট অ্যাভারেজ’ সম্পর্কে ধারণা পেয়ে উপস্থিত মানুষদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়। সঠিক বিনিয়োগ আপনার টাকাকে চক্রবৃদ্ধি সুদের হারে বাড়িয়ে তুলতে পারে অর্থাৎ সুদের উপর সুদ, একেই ‘পাওয়ার অফ কম্পাউন্ডিং’ বলে।

সঞ্জয় চৌরাসিয়া আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন, “অল্প বয়স থেকে বিনিয়োগ শুরু করলে বেশি সময় পাওয়া যায় এবং লং টার্মে রিটার্ন বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। মিউচুয়াল ফান্ড-এর একটা বড় সুবিধা হল এখানে খুব কম টাকা থেকে বিনিয়োগ করা যায়। যার যেমন ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা তিনি সেভাবেই বিনিয়োগ করতে পারেন।” সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান (এসআইপি)-এর মাধ্যমে কী করে নিয়মিত বিনিয়োগের সু-অভ্যাস গড়ে তোলা যায়, তিনি সহজ কথায় তা বুঝিয়ে দেন।

মার্কেট-এর সেনসেক্স নেমে গেলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অস্থিরতা দেখা দেয়। সে প্রসঙ্গে তাঁর মত, “অর্থ বাজারে ওঠা-নামা থাকবে, কিন্তু ভয় পেলে বা হঠকারী সিদ্ধান্ত নিলে চলবে না।” মিউচুয়াল ফান্ড কতটা সুরক্ষিত সে প্রসঙ্গে তিনি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ও সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া বা সেবি-র সুরক্ষা ও তত্ত্বাবধানের কথা মনে করিয়ে দেন। বিনিয়োগের রিটার্ন নেওয়ার সময় ট্যাক্স স্ল্যাবের সুবিধা-অসুবিধার কথাও তিনি উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানের শেষে ছিল প্রশ্নোত্তর পর্ব। মিউচুয়াল ফান্ড কী? মুদ্রাস্ফীতি কী? প্রভৃতি প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া হয় উপস্থিত দর্শকদের থেকে। সফল উত্তরদাতাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় আকর্ষণীয় পুরস্কার।

সঞ্চয় এবং বিনিয়োগ-এর মধ্যে একটা সূক্ষ্ম ভেদ রেখা আছে। সঞ্চয় করলে টাকা জমে, তা বৃদ্ধি পায় না। কিন্তু সঠিক সময়ে সঠিক ফান্ডে বিনিয়োগ করলে আপনার টাকা খুব দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে, মিউচুয়াল ফান্ডই তার প্রমাণ। বিনিয়োগের এই সহজ সত্যিটা মানুষের সামনে তুলে ধরার কাজে ‘কানাড়া রোবেকো মিউচুয়াল ফান্ড’-এর ‘সঞ্চয়ের সহজপাঠ’ উদ্যোগ যে সফল, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

সঞ্জয় চৌরাসিয়া জানান, “শিলিগুড়ির বুকে আমাদের এই অনুষ্ঠান যথেষ্ট সফল। মানুষদের থেকে দারুণ সাড়া পেয়েছি। অনেক তরুণ-তরুণী এই অনুষ্ঠানে এসেছেন, প্রশ্ন করেছেন। মিউচুয়াল ফান্ড সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ আর সচেতনতা বাড়ছে। এটা খুব ইতিবাচক।”

এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত এক ছাত্র, কেতন সিংহ জানান, “এখানে এসে বিনিয়োগ সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম। নিজের কিছু প্রশ্নেরও উত্তর পেয়েছি। এরকম সেমিনারে যোগ দিতে আমি অন্যদেরও পরামর্শ দেব।”

এক বিনিয়োগকারী, পবিত্র দাস বলেন, “সঞ্চয়ের সহজপাঠ-এর মতো অনুষ্ঠান কমই হয়। দারুণ অভিজ্ঞতা হল। কানাড়া রোবেকো মিউচুয়াল ফান্ড এবং আনন্দবাজার পত্রিকার এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।”

আর এক ছাত্র, করুণা শর্মা জানান, “এখানে এসে অনেক উপকার হল। সবাইকে এটাই বলতে চাই, যত আগে বিনিয়োগ করা শুরু করবেন, ততই লাভবান হবেন।”

মিরিক, দার্জিলিং থেকে এসেছিলেন পঞ্চায়েত কর্মী, সমীর রাই। তিনি বলেন, “সঞ্চয়ের সহজপাঠ-এ এসে যেন এক নতুন পাঠ নিলাম। বুঝলাম মিউচুয়াল ফান্ড সম্পর্কে মানুষ যত জানবে, বুঝবে, বিনিয়োগ করবে, ততই ভাল।”

বিনিয়োগকারী অমিত কুমার সরাফ জানান, “কানাড়া রোবেকো মিউচুয়াল ফান্ড ও আনন্দবাজার পত্রিকাকে ধন্যবাদ জানাই। ‘সঞ্চয়ের সহজপাঠ’ একটি দারুণ উদ্যোগ। মার্কেটে লং-টার্মের জন্য টাকা রাখা কতটা জরুরি খুব সহজ করে এখানে বোঝানো হল।"

এটি একটি স্পনসর্ড প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনটি ‘কানাড়া রোবেকো ’—এর সঙ্গে এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন